মহেশখালীর বিভিন্ন পানের হাট বাজার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এক বিড়া পান দুই সপ্তাহে আগে বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা দরে। সেই পান এখন বিক্রি হচ্ছে বিড়া প্রতি ১০০ টাকা থেকে ৬০ টাকায়। আর ছোট যে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে সেই পান এখন বিক্রি হচ্ছে বিড়া প্রতি ৩০ টাকা দরে।’’
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে পানের দাম কমে যাওয়ায় দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে লোকসানে পড়েছেন প্রান্তিক পানচাষিরা। কয়েকগুণ লোকসান গুণে তাদেরকে পান বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে মূলধন তুলতেই হিমশিম খাচ্ছেন তারা।
চাষিরা বলছেন, আগে যে দামে পান বিক্রি হতো তার থেকে কয়েকগুণ কম দামে এখন বিক্রি করতে হচ্ছে। এ ছাড়া বরজ থেকে পান ভাঙতে যে শ্রমিক খরচ হয় পান বিক্রি করে সেই টাকা তোলাই কঠিন হয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে মানুষ পান খাওয়া অনেক কমিয়ে দিয়েছে। এতে চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ বেশি থাকছে। এ ছাড়া বিদেশে পান রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। সামগ্রিক কারণে বাজারে পান বেশি থাকায় দাম কম।
চাষিরা জানান, উৎপাদন ভালো হলেও বড় যে পান করোনা কালে লকডাউনের আগে বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা বিড়া সেই পান এখন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ৬০ টাকায়। এ ছাড়া ছোট যে পান বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায় এখন তা বিক্রি হচ্ছে ত্রিশ টাকা থেকে বিশ টাকা বিড়া। এক বিড়াতে পান থাকে ৬৪টি। অথচ মহেশখালীতে চৈত্র, বৈশাখ মাসে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় এক বিড়া পান বিক্রির রেকর্ড রয়েছে। সারা বছরই মহেশখালীতে পান উৎপাদন হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছর মহেশখালীতে চার হাজার ১৬'শ হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়েছে। পান চাষের সঙ্গে জড়িত আছেন মহেশখালীর ৩০ হাজার কৃষক।
কালারমার ছড়া উত্তরনলবিলা গ্রামের পানচাষী সোহেল বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর দেশের অন্যান প্রান্তে পান রপ্তানি করা যায়নি। এ কারণে পানের দাম খুবই কম।
মহেশখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মুবিনুল ইসলাম বলেন,''করোনাকালীন দুর্যোগের কারণে অনেকেই পান খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন। ছোট ছোট ভাসমান পানের দোকান বন্ধ হয়ে গেছে। বড় অনেক দোকানও বন্ধ রয়েছে। এ সব কারণে পানের দাম এখন কিছুটা কম। আর উপজেলা লকডাউনের আওতায় আসায় পাইকারী ব্যবসায়ীরা না আসার কারণে পান উপজেলার বাইরে তেমন যাচ্ছে না।