আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে মার্কিন দূতাবাস থেকে কূটনীতিকদের সরানোর দৃশ্য দেখে অনেকেই ভিয়েনমার যুদ্ধের দৃশ্য মনে পড়ে যেতে পারে। ভিয়েতনাম যুদ্ধ শেষে সায়গন থেকে যেভাবে মার্কিন কূটনীতিকদের সরানো হয়েছিল ঠিক সেভাবেই আফগানিস্তানের কাবুলে মার্কিন দূতাবাস থেকে হেলিকপ্টারে সরানো হলো সেখানকার কূটনীতিকদের।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশাল আকৃতির দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট চিনুক এবং দ্রুতগতির ব্ল্যাকহক হেলিকপ্টারগুলোকে দূতাবাসের স্টাফদের সরিযে নেওয়ার কাজে লাগানো হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, একটির পর একটি হেলিকপ্টার দূতাবাসের ভেতরে নামছে, আর কিছুক্ষণের মধ্যেই যাত্রী বোঝাই করে উড়ে যাচ্ছে।
কূটনৈতিক সাঁজোয়া যানের বহর মার্কিন দূতাবাস এলাকা ত্যাগ করতে দেখা গেছে।
একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাদেরকে কাবুল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, এবং সেখানে তারা কত সময় থাকবেন তা বলা হচ্ছে না।
বিমানবন্দরটি এখন বিভিন্ন দেশের লোকে পরিপূর্ণ, যেখানে কূটনীতিক, ঠিকাদার এবং বেসামরিক লোক, সবাই কাবুল ছাড়ার অপেক্ষায় সমবেত হচ্ছেন।
রোববার স্থানীয় সময় মার্কিন দূতাবাসের ছাদ থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। দূতাবাসের কর্মীরা সিআইএ’র গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট পুড়িয়ে ফেলতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ সময় দূতাবাসে মার্কিন পতাকা নিচু করে উড়তে দেখা যায়। যা দূতাবাস বন্ধ বলে ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এদিকে, আসন্ন দিনগুলোতে সহায়তা করার জন্য বিদেশিদের আফগানিস্তান না ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে তালেবান। তবে যুক্তরাষ্ট্র আর ব্রিটেন তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নিলেও দূতাবাসের কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে রাশিয়া।