নিজস্ব প্রতিবেদক।। সদ্য সমাপ্ত মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মহিলা সংরক্ষিত ওয়ার্ড ৭,৮ ও ৯ এর সদস্য ক্যামেরা প্রতীকের প্রার্থী নয়ন বানু ভোট পুনঃগণনার জন্য সংশ্লিষ্ট রিটার্নং অফিসার বরাবরে লিখিত আভিযোগ ও আবেদন করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুতুবজোম ইউনিয়নের ৭,৮ও ৯ নং সংরক্ষিত আসনে ক্যামেরা প্রতীকের প্রার্থীকে ৩৬২ ভোটে পরাজিত দেখানো হয়েছে। যা অস্বাভাবিক বলে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে পুনরায় ভোট গণনার আবেদন করেন।
সূত্রে জানা যায়, ক্যামেরা প্রতীকের প্রার্থী নয়ন বানুর ৭নং ওয়ার্ডের ছলের বাপের পাড়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে তাকে মাত্র ১০টি ভোট দেখানো হয়েছে। এটা হাস্যকর ও বিভ্রান্তিকর। ওই কেন্দ্রটিতে তার বহু নিকট আত্মীয়সহ বড় একটি ভোট ব্যাংক রয়েছে। কিন্তু এমন কম ভোট দেখানোটা বিভ্রান্তিমূলক। প্রার্থী নয়ন বানু বলেন -প্রতিকার চেয়ে তাৎক্ষনিক সংশ্লিষ্ট পিজাইডিং অফিসার সোহাগ কামালকে অভিযোগ করলে তিনি সব কিছু উপজেলায় সিদ্ধান্ত হবে বলে এড়িয়ে যান।
ক্যামেরা প্রতীকের এজেন্ট নেজামুল করিম জানান -ক্যামেরা প্রতীকের প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের বান্ডিলগুলো ঢুকিয়ে ফেলে মাত্র ১০টা ভোট দেখিয়ে আমার থেকে এজেন্ট ফরমের কোন স্বাক্ষর না নিয়ে উপজেলায় হবে বলে কোন রেজাল্ট শীট না দিয়ে চলে যায়।
ক্যামেরা প্রতীকের প্রার্থী নয়ন বানু লিখিত অভিযোগে বলেন -তার ভোট গণনা না করে শুধু মাত্র মনগড়া ১০টি ভোট দেখিয়ে তাকে পরাজিত করা হয়। এ নিয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট রিটার্নং অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন বলেও জানান। আবেদনে তিনি ভোটগুলো পুনরায় গণনা করার দাবি করেন। তিনি আশা করেন ভোট পুনঃগণনা হলে তিনি অবশ্যই বিজয় লাভ করবে।
এ বিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসার সোহাগ কামালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন -"আমি ফলাফল ওই ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দিয়েছি, আপনারা তার কাছ থেকে বিস্তারিত বক্তব্য নিতে পারেন।"
কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নং অফিসার মাসুদ কুতুবী লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তাবে এ বিষয়ে তার করার কিছু নাই বলে জানান।