সম্প্রতি কালারমার ছড়ায় রুহুল হত্যার মানববন্ধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন কালারমার ছড়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ। তিনি বলেন, এতোদিনের শান্ত পরিবেশ হঠাৎ অশান্ত হওয়ার কারণ কী? রুহুল কাদেরকে নির্মমভাবে হত্যার পর সন্ত্রাসীরা আলাউদ্দিনকে খুন করে। পরপর দুটি হত্যায় আমাকে জড়াতে একদল কুচক্রি নির্বাচনে আমার সুনাম ক্ষুন্ন করতে নীলনকশায় নেমেছে। আমি রুহুল ও আলাউদ্দিন হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এভাবে চলতে থাকলে আগামি কালারমার ছড়ার ভবিষ্যত কী জানতে চাইলে চেয়ারম্যান তারেক জানান -আমার শান্ত কালারমার ছড়ায় এভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলতে পারে না। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে কঠোর নজরদারিতে রাখতে হবে এ এলাকা। মধ্যখানে এ ইউনিয়ন থেকে পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প সরিয়ে নিলেও আবারও ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এজন্য মহেশখালী থানা প্রশাসনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। এ ক্যাম্প স্থাপনের মধ্যদিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কিছুটা হলেও নির্মুল হবে। তবে থানা প্রশাসনকে আরও নজরদারি রাখতে হবে।
রুহুল ও আলাউদ্দিন হত্যা বিষয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কালারমার ছড়ার এ জনপ্রতিনিধি জানান -এ দুটি হত্যাকাণ্ডে সন্ত্রাসীদের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতায় আমার চেষ্টার কমতি ছিলো না একদমই। এরপর আমরা দেখছি রুহুল হত্যার এতোদিনেও কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি। এটি খুব দুঃখের বিষয়। আমরা চাই সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হোক। অন্যতায় সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে।
উল্লেখ্য: গত ১৮ অক্টোবর রাতে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন কালারমার ছড়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতার ছোটভাই রুহুল কাদের। এ ঘটনায় পরদিনই সন্ত্রাসী কানা বাদশাকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে নিহত রুহুলের পরিবার। রুহুল হত্যার ১৮দিন পর গত ৫ নভেম্বর একই ইউনিয়নের কালুর পুল বাঁশডোয়া নামক স্থানে আবারও খুন হন আত্মসমর্পণ করে আলোর পথে আসা আলাউদ্দিন।