বিশেষ সংবাদদাতা।।
মহেশখালীর অদূরে সোনাদিয়ার কাছে জলদস্যুরা বেশ কয়েকটি ট্রলারে হানা দিয়েছে। এ সময় দস্যুরা জেলেদের উপর গুলি চালায় এবং তাদেরকে কুপিয়ে ও মারধর করে আহত করা হয়। জেলেরা দস্যু কবলিত চারটি জেলে ট্রলারের পরিচয় পেলেও দস্যুরা সমুদ্রে ধারাবাহিক ভাবে একাধিক ট্রলারে হানা দিতে দেখেছে। লুটপাট করে চলে যাওয়ার সময় জেলেদের ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল করে দেয়। উপকূলে ফিরে এসে আহত বেশ কয়েকজন জেলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন, এক জলের অবস্থা সংকটাপন্ন বলেও জানা গেছে।
আমাদের নতুন ফেসবুক পেইজ🔽
হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া আহত জেলেরা হলেন- বাঁশি মাঝি, আলি হোসেন, আব্দুল্লাহ, মোহাম্মদ, রহিম, জাগির হোসেন, নছর উল্লাহ, শামসু আলম, জাহাঙ্গির আলম ও পুতু মিয়া। তারা সকলই মহেশখালীর কুতুবজোম এলাকার জেলে।
দস্যু কবলিত ট্রলারের এক জেলে জানান- প্রথমে জলদস্যুদের ২টি ট্রলার এসে ইটপাটকেল মারতে মারতে ধাওয়া করে। এ সময় তাদের ট্রলার জোরে চালিয়ে স্থান ত্যাগ করতে চাইলে দস্যুরা তাদের ট্রলার লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি করে। ২০-২৫ জনের এ দস্যুরা একাধিক ট্রলার নিয়ে এসে হানা দেয়, তাদের কাছে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্রসহ দা, কিরিচ ও লোহার রড় ছিল।
কক্সবাজার হাসপাতালে আসা জেলেদের অনেকই চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে বলে জানা গেছে। তবে গুলিবিদ্ধ বাঁশি মাঝি নামের এক জেলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
মহেশখালী-কুতুবদিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জানান, সমুদ্রে দস্যুতার খবর জেনেছেন তারা, সমুদ্রের যে পয়েন্টে ঘটনা ঘটেছে, তা বেশ দূরে, তারপরও সাগরে জলদস্যুর রোধ করতে সক্রিয় রয়েছে পুলিশ। মহেশখালী থানার অপর একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায় -প্রয়োজনীয় নৌযান না থাকায় সমুদ্রে দস্যুতার খবর পেলেও তারা অভিযান চালাতে পারে না।
জেলে ও ট্রলার মালিকা জানান -গত কয়েক বছর ধরে সমুদ্রে দস্যুতা প্রায় বন্ধ ছিল, গত কয়েক মাস ধরে জলদস্যুরা ফের তাণ্ডব শুরু করেছে। সম্প্রতি এক জেলেকে দস্যুরা সমুদ্র ফেলে দিলে এখনও তার তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় সমুদ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজদারি ও অভিযান প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।
Mahbub Rokan//