ফেনীর সাবেক সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের বহুল আলোচিত রাজনীতিবিদ জয়নাল হাজারী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। ৭৮ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ কিডনি হৃদরোগসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
জয়নাল হাজারী ১৯৪৫ সালের ২৪ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন।
জয়নাল হাজারী ১৯৮৪-২০০৪ পর্যন্ত ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ফেনী-২ (ফেনী সদর) আসন থেকে ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে এমপি নির্বাচিত হন ।
সর্বশেষ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ছিলেন বহুল আলোচিত এই নেতা।
২০০১ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে হাজারীর বাসভবনে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। এরপরই তিনি আত্মগোপনে চলে যান। এপ্রিল, ২০০৪ সালে দল থেকেও বহিষ্কৃত ঘোষণা করা হয় হাজারীকে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনি দেশে ফিরে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর তার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো থেকে তাকে একে একে অব্যাহতি দেওয়া হয়। দেড় দশক পর ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদে পদ পান। এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর দলীয় পদেও ফেরেন প্রবীণ এ রাজনীতিবিদ।
জয়নাল হাজারীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এক শোকবার্তায় মন্ত্রী প্রয়াত জয়নাল হাজারীর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
ফেনী-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীও জয়নাল হাজারীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।