রকিয়ত উল্লাহ।। মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেলে মায়ের দোয়া ও মেসার্স রিফাত নামে ২ টি মাছ ধরার ট্রালারে ডাকাতির সময় জলদস্যুর গুলিতে ৪ জন জেলে গুলিবিদ্ধিসহ মোট ১৫ জন জেলে আহত হয়েছে৷ এসময় জলদস্যুরা দুই ট্রলারে ৫ লাখ টাকার মাছ সহ বরশি লুট, ট্রলারে মেশিন নষ্ট করে দিয়েছে। ২১ ডিসেম্বর রাত ১১ টার দিকে বঙ্গোপসাগরে গুলিদার নামক স্থানে এঘটনা ঘটে । বিষয়টি নিশ্চিত করেন ট্রলারের মালিক আমির হোসেন। তিনি বলেন, সাগরে জলদস্যুর উৎপাত বেড়েছে, জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে যেতে ভয় পায়। আজ আমার ও অন্য বোটসহ দুইটি ডাকাতি করে দুই ট্রলারে ৫ লাখ টাকার মাছ সহ বরশি লুট মেশিন নষ্ট করে দিয়েছে জলদস্যুরা। এসময় জলদস্যুর গুলিতে আহত হয়েছে জেলেরা।
এঘটনার খবর পেয়ে কক্সবাজার জেলা পুলিশের একটি টিম আহতদের উদ্ধার করে ২২ ডিসেম্বর সকাল ৯ টায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, বাশি মাঝি, জাগির হোসেন,এন্ডা মিয়া,নছর উল্লাহ, শামসু আলম,জাহাঙ্গির আলম,তারেক,সোলতান,ছালামত উল্লাহ,সাকের উল্লাহ,মোঃ হোছন,মনছুর আলী,আনজু মিয়া,আলী মাঝি,আব্দুল্লাহ,পুতু মিয়া,মাহাম্মদ, এরা সবাই মহেশখালী উপজেলার কুতুবজুম ইউনিয়নের বাসিন্দা। এদের মধ্যেই আহত বাঁশি মাঝির অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। এছাড়াও আরও ৪ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
আহত জেলেরা জানান, হঠাৎ করে সাগরে মাছ ধরার সময় জলদস্যুরা হানা দেন,আমরা ট্রলার না থামালে তারা গুলি ছুঁড়ে, এতে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। তারা ট্রলারে এসে মারধর করে সব লুট করে নিয়ে যায়। জলদস্যুর বাঁশখালী,কুতুবদিয়া ও মহেশখালীর বলে জানান।
মহেশখালী -কুতুবদিয়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(সার্কেল) জাহিদুল ইসলাম জানান, যেখানে ঘটনা ঘটেছে, তা আমাদের এলাকার বাহিরে, তারপরও সাগরে জলদস্যুর বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।