Advertisement


মহেশখালীতে অন্যের বউকে ভাগিয়ে নিলো মৌলভির ছেলে লম্পট নাহিদ (ভিডিও)


বার্তা পরিবেশক।।
মহেশখালীর কালারমার ছড়ায় মোহাম্মদ নাহিদ নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে অন্যের স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেওয়ার  অভিযোগ তুলেছে স্ত্রী জোসনা আক্তারের স্বামী জয়নাল আবেদীন।

গত ১৩ মার্চ মহেশখালী থানায় এ অভিযোগ করেন তিনি। অভিযুক্ত নাহিদ ফকিরা ঘোনা এলাকার মৌলানা হোসেনের ছেলে। এ বিষয়ে জোসনার পরিবারের পক্ষ থেকেও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে৷

তথ্য মতে, জয়নাল-জোসনা দম্পতির ৪ বছরের একটি কণ্যা সন্তান রয়েছে৷ তাদের মাঝে ৬ বছরের সাংসারিক জীবন অতিবাহিত হলেও কোনোরকমে পারিবারিক কলহ হয়নি এখন অব্দি। তারপরও পরকীয়ায় জড়িয়েছে স্ত্রী জোসনা আক্তার।

দুই অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ১৩ মার্চ গভীর রাতে নাহিদের সাথে পালিয়ে যায় স্ত্রী জোসনা আক্তার। পরদিন সকালে তা জানাজানি হলে স্ত্রী জোসনা আক্তারের পরিবার ও স্বামী উভয়ে পৃথক দু'টি অভিযোগ দায়ের করেন।
ভিডিও দেখুন


 

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, 'জোসনা পালিয়ে যাওয়ার সময় জয়নালের ৭ ভরি স্বর্ন ও নগদ ৫০ হাজার ব্যবসায়িক টাকা নিয়ে চলে যায়।

এদিকে আরও অভিযোগ রয়েছে, কালারমার ছড়া পুলিশ ক্যাম্পে গেলে জয়নালের কোনো কথাকে গুরুত্ব না দিয়ে উল্টো আইন পরিপন্থী কথা বলেন ক্যাম্পের এএসআই জসিম উদ্দিন।

ভুক্তভোগী জয়নাল আবেদীন জানান, যেহেতু আমার ৪ বছরের একটি সন্তান রয়েছে সেহেতু আমার স্ত্রীকে আমি ফিরে পেতে চাই। এ ব্যাপারে মহেশখালীর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।

জোসনার ফেলে যাওয়ানকণ্যা শিশু জানান, আমার মা আমাকে দেখতে পারেনা তবুও আমি আমার মাকে ফিরে পেতে চাই। পাশাপাশি নাহিদের পরিবারকে স্ত্রী জোসনাকে দ্রুত হাজির করার অনুরোধ জানান জয়নাল। অন্যতায় আরও কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে জানান তিনি।

এদিকে ইসলামের বিধিবিধান অনুযায়ী মহানবী (সা.) অন্যের স্ত্রীর দিকে চোখ তুলে তাকানোকে অত্যন্ত চরম অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং খেয়ানত বলে উল্লেখ করেছেন। সেখানে একজনের বিবাহিত স্ত্রীকে তার থেকে ডিভোর্স নেওয়া ছাড়া অথবা তার মৃত্যু ছাড়া, তাকে ভাগিয়ে নিয়ে বিবাহ করাটা চরম অপরাধ। যে মহিলা নিজে থেকে ভেগে যাবেন তিনিও এই অপরাধে অপরাধী হবেন এবং বাংলাদেশে প্রচলিত যে মুসলিম পারিবারিক আইন রয়েছে সে আইনে ৭ বছর কারাদণ্ডের কথা পর্যন্ত বলা আছে। অর্থাৎ এটা দেশীয় প্রচলিত আইনেও অপরাধ হিসেবে বিবেচিত।

মহেশখালীতে এমন ঘটনার কথা জানাজানি হলে সর্বত্র তোলপাড় পড়ে যায়৷ অনেকে ঘটনার পর পুলিশের এমন বক্তব্যের নিন্দাও জানাচ্ছেন।