জানা গেছে, ১০ বছর আগের এইদিনে কালারমার ছড়ার সন্ত্রাসীরা সঙ্গবদ্ধ হয়ে রাতের আঁধারে তাকে নির্মম ভাবে কুপিয়ে খুন করে। ওইদিন রাত ৮টার দিকে কালারমার ছড়া বাজারে একটি দোকানের সামনে বসা অবস্থায় একদল বন্দুকধারী সন্ত্রাসী তাকে খুন করে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়।
এ জগন্য হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে মহেশখালীর অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তি ও প্রভাশালী গোষ্ঠীর সদস্যরা জড়িত ছিলো বলে সে সময় বিষয়টি বেশ আলোচিত হয়েছিল। খুনের এ নেপথ্যের কারিগররা এ নিয়ে পরিকল্পনা বৈঠকও করার খবর সে সময় গণমাধ্যমে বেরিয়ে ছিলো।
এ ঘটনার পর কালারমার ছড়ার সাবেক চেয়ারম্যান মীর কাশেম চৌধুরীসহ অনেকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা হয়। তবে এখনও পর্যন্ত খুনিদের অনেকই বহালতবিয়তে আছে বলে নিহতের পারিবারিক সূত্রের দাবি।
আজ তার মৃত্যুদিবস উপলক্ষে বাবার খুনের ঘটনার বিচার দাবি ও সকল খুনির দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দাবি করেন নিহত ওসমান চেয়ারম্যানের সন্তান বর্তমান কালারমার ছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ। একই সাথে তিনি তার বাবার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সকলের আন্তরিক দোয়া কামনা করেন।
মহেশখালীর সবার প্রিয় এ 'ওসমান চেয়ারম্যান' ব্যক্তিজীবনে একজন সদালাপী, সজ্জন, পরিমিত ও বন্ধুবৎসল স্বভাবের লোক ছিলেন বলে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা ও কালারমার ছড়ার বাসিন্দারা জানান। এমন মানুষটিকে নির্মম ভাবে হত্যার পর একটি ষড়যন্ত্রকারী চক্র তার পরিবারের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র ও তার সন্তান কালারমার ছড়ার বর্তমান জনপ্রিয় চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফকেও হত্যা করার নীলনকশা এঁটেছে বলে সূত্রের তথ্য। বিভিন্ন সময় এ নিয়ে হন্তারকরা বৈঠক করেছে বলে জানা যায়।