কুতু্বজোম ইউনিয়নের সোনাদিয়া ও ঘটিভাঙ্গা এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন- ২১ মার্চ (রোববার) সোনাদিয়া দ্বীপের পশ্চিমপাড়া উপকূলে একটি জেলে নৌকা এসে নোঙ্গর করে। পরে ওই নৌকা থেকে একাধিক রোহিঙ্গা (বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক) সোনাদিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে, ভাটার সময় প্যারাবনের ঝোপেও আশ্রায় নেয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের সাথে কথা বলে রোহিঙ্গা হিসেবে নিশ্চিত হয়ে পুলিশে খবর দেন। সকাল থেকে পুলিশ ওই এলাকায় রোহিঙ্গাদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন।
কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট শেখ কামাল জানিয়েছেন-এ পর্যন্ত অন্ততঃ একশজনেও বেশী রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুরোধ জানাচ্ছেন -যাতে ছড়িয়েছিটিয়ে থাকা আরও রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করে পুলিশে হন্তান্তরে সাহায্য করেন তারা।
মহেশখালী থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. আব্দুল হাই জানিয়েছেন- ইতোমধ্যে সোনাদিয়া থেকে ১১৮ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়েছে, আরও কিছু রোহিঙ্গা ছড়িয়েছিটিয়ে থাকতে পারে বলে উল্লেখ করে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি। রোহিঙ্গাদের বহনকারী বোটটি ঠিক কবে সোনাদিয়া এসেছে নিশ্চিত নয় এবং এ ঘটনায় কোনো দালাল ও বোট আটক করা যায়নি। এ সব রোহিঙ্গাদের টেকনাফ ও উখিয়া শরণার্থী ক্যাম্প পাঠিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি।