সূত্রে জানা যায়, এলজিইডি কর্তৃক মহেশখালীর চালিয়াতলী-শাপলাপুর-গোরকঘাটা সড়ক সংস্কারের কাজ চলতেছে। সড়ক সংস্কারের জন্য রাস্তায় পুরাতন ইটগুলো খুলে ফেলা হয়েছে। রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত গাড়ী চলাচল করার ফলে যানযটসহ ধুলাবালিতে পরিবেশ বিপর্যয় হচ্ছে। অন্যদিকে কালারমার ছড়ার উত্তর নলবিলার চালিয়াতলীতে উত্তর নলবিলা উচ্চ বিদয়ালয়, চালিয়াতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চালিয়াতলী দাখিল মাদ্রাসা ও উম্মুল হানী দারুল মাদ্রাসাসহ কয়েকটি মসজিদ রয়েছে। সেখানে কয়েকশত ছাত্র-ছাত্রীসহ প্রায় ৪ হাজার লোক বসবাস করে। ধুলাবালির কারণে ছাত্র-ছাত্রীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জনজীবন ধুলাবালিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বলে জানান।
উত্তর নলবিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ফরহাদ, তানিম, রহিম জানান -ধুলাবালির মধ্যদিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে অনেক কষ্ট হয়৷ আমাদের কয়েকজন সহপাঠী কাশিজনিত রোগে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে বিদ্যালয়ে আসতেছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা পল্লী চিকিৎসক নাছির উদ্দীন বলেন, ধুলাবালিতে নানা রোগ ব্যাধি হয়। এটা বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধের জন্য মারাত্মক ভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
চালিয়াতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দু রহিম কাউছার বলেন, আমার বিদ্যালয়সহ আশেপাশে ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকশত ছাত্রছাত্রীরা ধুলাবালিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এখানে যদি কর্তৃপক্ষ সকাল বিকাল দু'বার রাস্তায় পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করলে ধুলাবালি থেকে রক্ষা পেতো।
মহেশখালী উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ কুমার দে বলেন, সড়কে সংস্কারের ফলে কিছুটা দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। তবে ধুলাবালি থেকে রক্ষা পেতে সড়কে পানি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।