Advertisement


কালারমার ছড়ায় পাগড়ি পেয়ে ৬ হাফেজ আনন্দিত

স্টাফ রিপোর্টার।। যে বয়সে কোন বালাই নাই, সে বয়সের ছেলেদের বড় আয়োজন করে হাতে পুরস্কার আর মাথায় পাগড়ি এমন পরিবেশ উপস্থিত সকলকে পুলকিত করেছে। শুধু তাই নয়, মনমুগ্ধকর পরিবেশে ক্রমান্বয়ে ছয় কোরআনে হাফেজ'র দস্তারবন্দীতে বিমোহিত হয় অনুষ্ঠানস্থল। কোরআনে হাফেজ হওয়ার পর এমন স্বীকৃতি পেয়ে তাঁদের চোখ-মুখ ছিল আনন্দের ঝিলিক। এ দৃষ্টিনন্দন আবহটি তৈরী হয় মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের নোনাছড়ি ফকিরাঘোনা এলাকায়। গত ২রা মার্চ রাতে ফকিরাঘোনা তাজবিদূল কোরআন জামে মসজিদ ও হেফজখানায় হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ি প্রদান উপলক্ষে বার্ষিক ধর্মীয় সভা ও ইছালে সওয়াব মাহফিলে ওই আয়োজন করা হয়। 

অনুষ্ঠিত ধর্মীয় সভায় ফকিরাঘোনা এলাকার আনছারের ছেলে মো. আকাশ, একই এলাকার লকিয়তের ছেলে মো. ইমন, নোনাছড়ি গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে মো. আশেক, একই এলাকার আব্দু শুক্কুর সওদাগরের ছেলে সাইফুল ইসলাম, ফকিরজুম পাড়ার শামশুল আলমের ছেলে আব্দুল্ল্যাহ ও শাপলাপুর ইউনিয়নের ইব্রাহিমের ছেলে আরফাতকে দস্তারবন্দী করিয়ে পাগড়ি পড়ানো হয়। অত্র মসজিদ ও হেফজখানা পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি মাস্টার আবু তালেব বি,এ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ধর্মীয় ও ইছালে সওয়াব মাহফিলে প্রধান বক্তা ছিলেন, মাওলানা জাকের হোসাইন। এতিমখানা ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাওলানা আব্দুল মজিদ-এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা আবুহেনা মোস্তাফা ও নুর বক্স। 

ফকিরা ঘোনা এলাকার সদ্য কোরআনে হাফেজ হওয়া আকাশ জানান, এত সুন্দর আয়োজন করে মাথায় পাগড়ি আর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার দৃশ্য জীবনের প্রথম আনন্দ, যা কখনো ভুলার নয়। সামনে যতদিন বেঁচে থাকব এ সম্মান অক্ষুন্ন রেখে চলার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। আমন্ত্রিত অতিথিরা বলেন, কোরআনে হাফেজরা আলোর দিশারি। আল্লাহ তাদের অন্তরে কোরআনের প্রতিটি অক্ষর গেঁথে দিয়েছেন। তাঁদের মধুর কণ্ঠে কোরআনের আয়াত মুসল্লিদের মুগ্ধ করবে। তাঁদের দেখে সবাই কোরআন শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হবে। অনুষ্ঠিত ধর্মীয় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দুবাই প্রবাসী বাহাদুর আলম, মনজুর আলম বাদশা, সুলতান আমিন টিপু, জসিম উদ্দিন, জসনূর আহমেদ,  আবু হানিফা সোহেল ও জসিম উদ্দিন প্রমুখ।