সব খবর রিপোর্ট।। মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নে দীর্ঘদিন আগে গড়ে ওঠা একটি এতিমখানা বন্ধ করে দিতে স্থানীয় একটি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে বলে সূত্রের অভিযোগ। চক্রটি এ এতিমখানা বন্ধ করতে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে বলে অভিযোগে প্রকাশ। সর্বশেষ তাদের অপরাধ বাধাহীন করতে এতিমখানাটির সিসি ক্যামেরা চুরি করে নিয়ে গেছে এ চক্রটি।
সূত্রের অভিযোগ থেকে জানা যায়- কুতুবজোম আলিয়া এতিমখানা ও হেফজখানা নামের এ প্রতিষ্ঠানটি ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লি হাজী আলি চাঁন। তার মৃত্যৃর পর গত ৪০ বছর ধরে তার ভাই, স্ত্রী ও সন্তানরা নানা কষ্টে এ এতিমখানাটি পরিচালনা করে আসছিল। গত কয়েক বছর আগে প্রতিষ্ঠাতা হাজী আলি চাঁন এর সন্তানরা পড়ালেখা ও সাংসারিক কাজে এলাকার বাইরে অবস্থান করলে এতিমখানা ও হেফজখানাটি দেখাশোনার জন্য মৌখিক দায়িত্ব দেন তাদের নিকট আত্মীয় জনৈক জাহাঙ্গীর আলমকে। অভিযোগ রয়েছে এক পর্যায়ে এ জাহাঙ্গীর আলম এতিমখানা ও হেফজখানার নামে নানা বাণিজ্য শুরু করে, বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদা ও অনুদান নিয়ে তা আত্মসাৎ করতে থাকে। তাছাড়া এতিমখানাটির নামে থাকা বিভিন্ন দোকান ভাড়া দিয়ে মোটা অংকের সালামি ও ভাড়ার টাকা আত্মসাৎ করতে থাকে। এরইমেধ্যে এতিমখানাটির একটি করুণ অবস্থা সৃষ্টি হয়। যথাযথ ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার অভাবে তা অনেকটা বিলুপ্তির পথে চলে যেতে বসে।
এ অবস্থায় মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতার সন্তান হাফেজ মোর্শেদুল ইসলাম চট্টগ্রামের চাকরি ছেড়ে দিয়ে মহেশখালী চলে আসেন এবং এতিমখানাটির হাল ধরেন। তিনি উদ্যোগী হয়ে কুতুবজোম আলিয়া এতিমখানা ও হেফজখানা এবং তৎসংলগ্ন মসজিদ পরিচালনার জন্য আলাদা কার্যকরী কমিটি গঠন করে সুন্দর ভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছিল। অভিযোগ রয়েছে- এরই মধ্যে সেই জাহাঙ্গীর আলম তার দলবল নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ক্ষতি করতে নানা অপতৎপরতা শুরু করেন। তার এ কাজে সহায়ক হিসেবে যোগ দেন স্থানীয় ইউপি মেম্বার জয়নাল আবেদীন। তাদের সমন্বয়ে ১০-১২ জনের একটি সমন্বিত চক্র প্রতিষ্ঠানটি স্থায়ী ভাবে বন্ধ করে দিতে নানা অপ-তৎপরতা শুরু করে। দফায় দফায় হামলা করে প্রতিষ্ঠান পরিচালকসহ অনেককে আহত করে, ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-শিক্ষকদের এলাকাছাড়া করার তৎপরতা চালায়। সর্বশেষ গত একদিন আগে এতিমখানায় স্থাপন করা সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোও চুরি করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগে প্রকাশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক হাফেজ মোর্শেদুল ইসলাম বলেন- তার বাবার প্রতিষ্ঠা করা এ প্রতিষ্ঠানটি এক পর্যায়ে ধ্বংস হয়ে যেতে বসেছিল, তিনি চট্টগ্রাম থেকে এসে প্রতিষ্ঠানের হাল ধরেন এবং বিপুল অর্থ ব্যয় করে প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোর উন্নয়ন ঘটান। এরই মধ্যে এলাকার অপরাধী, মাদক-সন্ত্রাসীরা যূথবদ্ধ হয়ে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস করার নানা পাঁয়তারা শুরু করেছে বলে জানান তিনি। এ নিয়ে তিনি প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।