কাব্য সৌরভ।। নবমধাপে অনুষ্ঠিত মহেশখালীর আলোচিত দুই ইউপির নির্বাচন গেলো ১৫ জুন সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়ন ও বড় মহেশখালী ইউনিয়ন ব্যাপক ভাবে আলোচিত। এই দুই ইউনিয়নে নির্বাচনকে ঘিরে পূর্বের ন্যায় সংঘাতের আশংকায় ছিলেন সাধারণ ভোটার ও সচেতন মহল। দুই ইউনিয়নে এবারের নির্বাচনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ প্রার্থী গোষ্ঠী পরম্পরা ও দলীয় রাজনৈতিক ভাবে অত্যধিক শক্তিশালী হওয়ায় সংঘাতের আশংকার নানা জল্পনা কল্পনা শুরু হয় তফসিল ঘোষণার পর থেকে। অনেক সাধারণ ভোটার পছন্দের প্রার্থীর সাথে প্রচারণায় অংশ নিতেও ভয়ভীতির মধ্যে ছিলো। অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনা কে উড়িয়ে দিয়ে সংঘাতহীন ভাবে শেষ হলো মহেশখালীর আলোচিত কালারমারছড়া ও বড় মহেশখালী ইউপি নির্বাচন।
সংঘাতহীন ভাবে এই দুই ইউনিয়নের নির্বাচন সম্পন্ন করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ জনসাধারণের কাছে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে মহেশখালীর পুলিশ প্রশাসন। মহেশখালী কুতুবদিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবু তাহের ফারুকী, মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল হাই (পিপিএম) ও পুলিশ পরিদর্শক আশিক ইকবালের প্রশংসা করে নানাজন অভিমত প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখছেন।
হাসান রফিকুজ্জামান নামের একজন তার ব্যবহারিত ফেসবুক ওয়ালে লিখেন, "মহেশখালী থানার ওসি আব্দুল হাই'য়ের নৈপূন্যে সুষ্ঠু সংঘাতহীন মহেশখালীর নির্বাচন শেষ হওয়ায়, মহেশখালীবাসী সম্মানিত ওসি মহোদয়ের কাছে কৃতজ্ঞ" মোহাম্মদ ফোরকান নামের অপরজন লিখেন "আলোচিত দুই ইউনিয়নের নির্বাচন সংঘাত ছাড়া শেষ হওয়ায় মহেশখালীর পুলিশ প্রশাসন প্রশংসার দাবী রাখে"
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ জনমনে মহেশখালী থানার পুলিশ প্রশাসন নিয়ে জনসাধারণের এমন ইতিবাচক মন্তব্যে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাই বলেন, মহেশখালীর এই দুই ইউনিয়নে কোনো ধরনের মারামারি রক্তপাত সংঘাত ছাড়া নির্বাচন সম্পন্ন করতে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান (পিপিএম) স্যারের নির্দেশে খুবই সচেষ্ট এবং আন্তরিক ছিলো, মহেশখালীবাসীকে আমরা একটি সুষ্ঠু সুন্দর সংঘাতমুক্ত মারামারি ছাড়া নির্বাচন উপহার দিতে মহেশখালী থানার পুলিশ প্রশাসন নির্বাচনের মাঠে ছিলো, এবং আমরা বোধহয় তা করতে পেরেছি"
নির্বাচন পরবর্তী বিভিন্ন প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকের মধ্যে যাতে কোনো সহিংসতা, সংঘাতের ঘটনা না ঘটে তার জন্য প্রশাসনের আন্তরিক ভূমিকা কামনা করেন সচেতন মহল।