'রাস্তায় গর্তের কারণে তীব্র ঝাঁকুনিতে পথেই সন্তান প্রসব করলেন নারী'
শাকিলা আকতার
মহেশখালী উপজেলার অভ্যন্তরীণ প্রায় সকল সড়ক পরিণত হচ্ছে এক প্রকার নরকে। প্রায় সকল সড়কের অবস্থা এখন বেশ করুন ও ঝুকিপূর্ণ। ইদানীং ভারী বর্ষণের কারণে রাস্তা ঘাটে হাঁটু পরিমাণ পানির জমায়েত হচ্ছে। যার প্রধান কারণ ড্রেনেজ ব্যবস্থা চালু না থাকা। জলাবদ্ধতা দূর্ভোগে হাজারো মানুষ। মহেশখালীর প্রায় সকল সড়কেই বৃষ্টি হলেই জমে যায় হাঁটু পরিমাণ পানি এবং সড়কে ক্রমাগত ভাবে বড়সড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। সমস্যাটা বহু পুরনো এতে ব্যাহত যানচলাচল এবং মাঝেমধ্যে ঘটেছে দূর্ঘটনা, গভীর রাতে অন্ধকারে গাড়ি চলাচলে হতে পারে মারাত্মক দূর্ঘটনা।
মহেশখালীর দুইটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন মাতারবাড়ি ও ধলঘাট। মাতারবাড়ি-ধলঘাটের যাতায়াতের ব্যাবস্থা কারও অজানা নয়। প্রায় সময় সড়কে কিংবা কালভার্টের ভাঙন শুরু হলে জরুরী মেরামত না করে কালক্ষেপণ করেন সংশ্লিষ্টরা।
কালভার্ট কিংবা সড়কে ফাটল বা গর্তের সৃষ্টি হলে দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্রমেই বাড়ছে সড়কে ভোগান্তি।
প্রায় সময় দেখা যায়, যানবাহন উল্টে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে জানমালের। এ নিয়ে ভুক্তভুগীদের অভিযোগের যেনো শেষ নেই। অনেক সময় মুমূর্ষু ও ডেলিভারি রোগী নিয়ে চলাচলে ঝুঁকি থাকায় বিপত্তিতে পড়তে হয়।
আমি বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল একটা এনজিও থেকে মহেশখালী হসপিটালে কর্মরত আছি এবং হসপিটালে কয়েকদিন আগে মাতারবাড়ি ইউনিয়নের সন্তান প্রসব করা এক রোগীর কাছ থেকে জানতে পারি হাসপাতালে আসার পথে গাড়িতে রাস্তায় গর্তের কারণে তীব্র ঝাঁকুনি হয়। একদিকে প্রসব বেদনা অন্যদিকে গাড়ির ঝাঁকুনি দুই কারণেই চলন্ত গাড়িতেই সন্তান প্রসব হয়েছে তার। বিষয়টি ভয়ানক ও দুঃখজনক।
এ সব পটভূমি বিবেচনায় এখন মহেশখালীর মানুষের একটাই দাবি- মহেশখালীর এ সব সড়কের দ্রুত উন্নয়ন করা হোক। আর অভ্যন্তরীণ সড়ক উন্নয়নে লোকদেখানো কাজ না করে টেকসই ভিত্তিক স্থায়ী সমাধানে লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টরা কাজ করবেন এমটাই প্রত্যাশা দ্বীপবাসীর।
লেখক: মহেশখালীর সন্তান, রাজনৈতিক কর্মী ও মহেশখালী হাসপাতালে আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত।