Advertisement


মাতারবাড়িতে থামছে না বালি উত্তোলন, প্রশাসন নীরব


সুব্রত আপন।।
মহেশখালীর মাতারবাড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজঘাট ব্রীজের পাশে নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালি তুলছে একটি অসাধু মহল। ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবাধে বালি উত্তোলন করা হলেও রহস্যজনক কারণে নীরব রয়েছে প্রশাসন। 

সরেজমিনে উপজেলার মাতারবাড়ির দক্ষিণ রাজঘাট ব্রীজের পাশে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার উপর দিয়ে বড় পাইপ লাইন দিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। এখানে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের করছেন মনোহর আলীর ছেলে মাহাবুব কামালের মালিকানাধীন ভিটায় আব্দু শুক্কুরের মালিকানাধীন ড্রেজার দিয়ে একই এলাকার জাগির হোসেনের ছেলে শুক্কুর, প্রকাশ মইগ্যার ছেলে আব্দু রহিম মাটি ভরাট করছেন। সাধারণ মানুষের অভিমত শুক্কুর মাতারবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীগের সভাপতি ছমি উদ্দীনের নিকটতম আত্মীয়।

স্থানীয় লোকজন জানান, অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের বিষয়টি নতুন কিছু নয়। ‌এর আগেও বালি উত্তোলন করা অবস্থায় প্রাক্তন সহকারী কমিশনার ভূমি ও  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুইচিং মং মারমা বহুবার অভিযান পরিচালনা করে তাদের জরিমানার আওতায় এনেছিলেন। 

স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নির্বিকারে বালি উত্তোলন করে চলেছে এলাকার বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। এতে নদীর পানি প্রবাহ কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙন সৃষ্টি হচ্ছে। একই সঙ্গে কৃষি জমি ও বসতভিটাও পড়েছে হুমকির মুখে। পাশাপাশি মেশিনের বিকট শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে আশপাশের মানুষেরা।

যত্রতত্র ভাবে বালি উত্তোলনের ফলে রাস্তাঘাট ও বাঁধ নষ্ট হয়ে একদিকে যেমন চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে অন্যদিকে ধুলা স্তুপ পড়ে গেছে। এসব ধুলার কারণে বাসা-বাড়িতে থাকার অযোগ্য পরিবেশ হয়ে পড়েছে। 

বালি উত্তোলনের বিষয়টির স্বীকার করে মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু হায়দার বলেন, এলাকাবাসী থেকে আমি শুনেছি, আরো বিস্তারিত খবর নিব। যারা অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করব। 

এদিকে অনেকেই এসব ধুলা বালির মধ্যে চলাচল করায় নানা ধরনের শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী তাদের চলাচলের রাস্তাঘাট, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নষ্ট হওয়ায় প্রশাসনের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করেও কোন সুফল পাওয়া যায়নি বালিদস্যুরা অসাধু কিছু লোকের সাথে আতাঁত করে নির্বিচারে বালি ব্যবসা করে আসছে। 

মহেশখালী সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম জানান, “মাতারবাড়ির দক্ষিণ রাজঘাট ব্রীজের পাশে রাস্তার উপর দিয়ে বড় পাইপ লাইন দিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের আমার জানা ছিল না। বালি উত্তোলনের ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনার পক্ষ থেকে কোন অনুমতি নেই। এটি একেবারে অবৈধ। আমি খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।”

এ বিষয়ে জানার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইয়াসিন’র সাথে কথা বলতে তাকে ফোনে বারবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি এবং তার অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে মেসেজ করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।