বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন তাদের কারাগারে পাঠার্নো আদেশ দেন।
এছাড়াও পৌর সাবেক মেয়র সরওয়ার আজম, তার ভাই উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মৌলভী জহির উদ্দীনের বড় ভাই নাগু, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম ও আবু তাহেরসহ ৫ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) সুলতানুল আলম চৌধুরী জানান, আজ বৃহস্পতিবার মামলাটির সর্বশেষ যুক্তিতর্কের দিন ছিলো। যুক্তিতর্ক শেষে আগামী ২৪ নভেম্বর মহেশখালীর চাঞ্চল্যকর খায়রুল আমিন হত্যা মামলার রায়ের দিন ধার্য্য করেছেন আদালত। মামলার শীর্ষ আট আসামীর জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে- ১৯৯০ সালের ৯ এপ্রিল বিকেল পাঁচটার দিকে মহেশখালীর গোরকঘাটা বাজারে দুর্বৃত্তের গুলিতে খুন হন তৎকালীন জেলা পরিষদ সদস্য ও তরুণ রাজনীতিক খাইরুল আমিন সিকদার (২৮)। তিনি গোরকঘাটার হামজা মিয়া সিকদারের ছেলে। ওই দিন নিহত খাইরুল আমিনের বড় ভাই মাহমুদুল করিম বাদি হয়ে মহেশখালী থানায় মহেশখালীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুর বক্স, সাবেক গোরকঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান শামশুল আলম, সাবেক পৌর মেয়র সরওয়ার আজম, তার ভাই উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মৌলভী জহির উদ্দীন, হামিদুল হক, নাসির উদ্দিনসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঘটনার তদন্ত করে এজাহারভুক্ত ২৫ জনসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন ওই বছরের ২২ নভেম্বর।
২০০৩ সালের ২৭ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষ করে ৩২ বছর পর মামলা রায়ের দিন ধার্য্য করেছেন আদালত।