স্থানীয়রা জানিয়েছেন -শীত মৌসুমকে সামনে রেখে মহেশখালী-কক্সবাজারের এ নৌ -রুটে নতুন সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। মহেশখালী ঘাটে জোয়ারের সময় অনায়াসে বোটে উঠা গেলেও ভাটার সময় খালের সম্পূর্ণ পানি শুকিয়ে গিয়ে বোট চলাচল অনেকটা বন্ধ হয়ে যায়। আর দীর্ঘমেয়াদে ভোগান্তিতে পড়ে দ্বীপের অসংখ্য মানুষ এবং মহেশখালী দ্বীপে বেড়াতে আসা অগুনতি পর্যটক।
পরিদর্শনে দেখা গেছে- জেটিঘাট সংলগ্ন খালের পানি ভাটার সময় দ্রুত কমতে শুরু করে। অল্প সময়ের মধ্যেই পানি শুকিয়ে বোট চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। স্বল্পগতির বোটগুলো মোহনায় নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে। আর কক্সবাজার থেকে আসা যাত্রীদের মূল বোট থেকে নেমে বাড়তি নৌকায় করে ঘাটে পৌঁছাতে হচ্ছে। কিন্তু ঘাটে থাকা স্পীড বোট ও গাম বোট গুলো খালে পানি না থাকায় কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেতে পারছেনা। এ অবস্থায় ঘাটে ধীরে ধীরে যাত্রীদের ভীড় বাড়তে থাকে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রায় চার শতাধিক যাত্রী ঘাটে আটকা পড়ে যায়। তাদের মধ্যে স্থানীয় যাত্রী ছাড়াও পর্যটকও রয়েছে বহু।
মহেশখালী কক্সবাজার নৌপথে ফেরি সার্ভিস চালুর জন্য ২০১৭ সালের ১৭ নভেম্বর বাঁকখালী নদীর জেটিঘাট সংলগ্ন গোরকঘাটা অংশের খাল খনন কাজ উদ্বোধন করেন কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক। কিন্তু দীর্ঘ পাঁচ বছরেও ফেরির দেখা পায়নি মহেশখালীর মানুষ। আর অপরিকল্পিত ভাবে খাল খনন করায় অল্পদিনের ব্যবধানে খালটিও ভরাট হয়ে গিয়ে ফের দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, "ইতোমধ্যে খাল ভরাট হয়ে যাওয়ার বিষয়সহ সার্বিক বিষয়ে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়কে জানানো হয়েছে। আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব সমস্যা সমাধানের জন্য কার্যকর কাজ শুরু করা হবে।"
বলা হয় চীনের দুঃখ হোয়াংহো নদী -আর মহেশখালীবাসীর দুঃখ মহেশখালীর এই ঘাট বা মহেশখালী -কক্সবাজার নৌ-রুট। দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীবাসী আশা করছেন- আর আশা দেওয়া নেওয়া নয় -এবার সত্য -সত্যই এই দুঃখ লাঘবের উদ্যোগ নিবেন সংশ্লিষ্টরা।