মেসি নাকি মদ্রিচ কে বিদায় নিবে? দুই কিংবদন্তির লড়াইয়ে মেসির আর্জেন্টিনা ও মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি হয় বিশ্বকাপের ১ম সেমিফাইনালে। মেসি এবং আলভারেজের দারুণ গোলে প্রথপমার্ধেই ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে কখনো না হারার পরিসংখ্যান নিয়ে লুসাইল স্টেডিয়ামে টানা দুই বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলতে যাওয়া ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে নামে মেসির আর্জেন্টিনা।
দুই পরিবর্তন নিয়ে এদিন একাদশ সাজান আর্জেন্টাইন কোচ স্কালোনি। কিন্তু ম্যাচ যত গড়িয়েছে ততই মিডফিল্ডে আধিপত্য দেখিয়েছে ক্রোয়েশিয়া।
ম্যাচের শুরু থেকে ক্রোয়েশিয়া বল দখলে রাখলেও ম্যাচের সুযোগ তৈরি করতে পারতেছিল না ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের ২৬ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। ডি বক্সের বাইরে থেকে এনজো ফার্নান্দেজের দূরপাল্লার শট রুখে দেন লিভাকোভিচ। ম্যাচের ৩৩ মিনিটেই এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের ৩২ মিনিটে এনজো ফার্নান্দেজের দারুণ এক পাস থেকে ডি বক্সের ভেতর বল পান আলভারেজ। আলভারেজকে ফাউল করে বসেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচ। রেফারি সাথে সাথে পেনাল্টির বাঁশি বাজান।
স্পট কিক থেকে গোল করে আর্জেন্টিনাকে ৩৩ মিনিটে ১-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে দেন লিওনেল মেসি। এই বিশ্বকাপে এটি তার ৫ম গোল। তাছাড়া সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে ১১টি গোল করলেন মেসি।
এই গোলের রেশ কাটতে না কাটতে আবার আর্জেন্টিনার গোল। এবারর হুলিয়ান আলভারেজের দারুণ গোলে ৩৯ মিনিটেই এগিয়ে গেল আর্জেন্টিনা।
মাঝমাঠ থেকে মেসির পাস থেকে বল পেয়ে দুর্দান্ত ক্ষিপ্র গতিতে বল নিয়ে ডি বক্সের ভেতর ঢুকে ক্রোয়েশিয়ার দুই ডিফেন্ডারকে টপকে বল নিয়ে ভেতরে ঢুকে লিভাকোভিচকে পরাস্ত করেন এই ম্যান সিটি স্ট্রাইকার। বিশ্বকাপে এটি তার ৩য় গোল।
ম্যাচের শেষ দিকে আরো সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। ৪৩ মিনিটে মেসির কর্নার থেকে তাগলিয়াফিকোর হেড দুর্দান্তভাবে রুখে দেন লিভাকোভিচ। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে গেল আর্জেন্টিনা।