সরেজমিনে গিয়ে কুতুবদিয়ার কৈয়ারবিলের রোড পাড়ার লবণ মাঠে দেখা যায় চাষীরা লবণ উৎপাদনে ঘাম ঝরাচ্ছে। ইতোমধ্যেই লবণ উৎপাদন হয়েছে কানি প্রতি ৫০ মন। আর বিক্রি হচ্ছে ৫২০ টাকা করে। লবণের দাম থাকায় আন্দন্দিত চাষি ছাবের আহমদ জানান- লবণ কানি প্রতি ৫০-৭০ হাজার করে জমি বর্ঘা নিতে হয়। পলিথিন ৬ হাজার ও পানি বাবদ ৬ হাজার ও শ্রমিকের জন্য ৩০ হাজার করে প্রায় প্রতি খানিতে খরচ পড়ে ১লাখ ২০ হাজার টাকা। আর লবণ উৎপাদন হয় কানি প্রতি ২৫০-৩০০ মন। লবণের দাম কমে গেলে লোকসান হবে বলে জানান এই চাষি।
মহেশখালীর কালারমার ছড়ার উত্তর নলবিলার লবণ চাষি জিয়াউর রহমান জানান- অন্যান্য উপজেলায় লবণ চাষে নামলেও চিংড়ী চাষের জন্যে আমাদের দেরিতে নামতে হয়। এতে আমরা কিছুটা লবণ উৎপাদনে পিছিয়ে থাকি। তারপরও আমরা পুরোদমে লবণ উৎপাদন শুরু করেছি। আশা করি দাম ঠিক থাকলে আমারা বেশ লাভবান হবো।
চকরিয়ার বদরখালীর দক্ষিণ মাথার লবণ চাষি মো. বেলাল জানান- লবণের দাম থাকায় শ্রমিক নিয়ে এই বারেই লবণ চাষ করতেছি। আশা করি লবণের দাম ঠিক থাকলে লাভের মুখ দেখতে পাবো।
এ বিষয়ে মহেশখালী লবণ চাষী বাঁচাও পরিষদের
আহ্বায়ক সাজেদুল করিম জানান- আমরা কয়েক বছর ধরে বিদেশ থেকে লবণ আমদানি বন্ধ ও লবণের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সংসদ-সদস্য আশেক উল্লাহ রফিকের সাথে বৈঠক ও মানববন্ধন করেছি। তিনি বিষয়টি সরকারের উচ্চ মহলে আলোচনার মাধ্যমে লবণ আমদানি বন্ধ ও লবণের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করায় লবণ চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। এর জন্য এলাকার এসপি ও সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
এ বিষয়ে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সংসদ-সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন- সরকার লবণ শিল্প ও চাষিদের জন্য লবণ আমদানি বন্ধ করে লবণের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করেছেন। লবণ চাষিদের জন্য অল্প সেবা মূল্য দিয়ে ঋণের ব্যবস্থা করেছে। দেশের চাহিদা পূরণ করে অতিরিক্ত লবণ উৎপাদন হলে তা রপ্তানি করার পরিকল্পনা করছে সরকার।