বিশেষ সংবাদদাতা, নীলফামারী থেকে ।। প্রচণ্ড শীতে কাবু হয়ে পড়েছে দেশের উত্তরাঞ্চল, ঘন কুয়াশার কারণে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পারেনি বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস বাংলা ও নভোএয়ারের দুটি ফ্লাইট। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ও ৯টায় ফ্লাইট দুটি সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা ছিল।
বিমান বন্দর এলাকায় দীর্ঘক্ষণ আকাশে চক্কর দিয়ে ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট অবশেষে ঢাকায় ফিরে যায়। এরইমধ্যে সৈয়দপুরের দিকে আসছিলো নভোএয়ারের আরও একটি বিমান। মাঝ পথে ওই বিমানটিও ঢাকার দিকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। পরে দুটি ফ্লাইটই ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে। এতে সৈয়দপুর থেকে ঢাকাগামী প্রায় শতাধিক যাত্রীর যাত্রা বাতিল হয়েছে। অপর দিকে ঢাকা থেকে সৈয়দপুরগামী যাত্রীদের ঢাকায় পুনরায় ফিরে যেতে হয়েছে।
ইউএস-বাংলার ফ্লাইটি আকাশে এভাবে চক্কর দেয় |
এর আগে শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বিঘ্নিত হয়। কুয়াশা খানিকটা কমে আসায় দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটের দিকে ফ্লাইট উঠানামা শুরু হয়।
বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, উত্তরের জেলা নীলফামারীতে প্রতিদিন তাপমাত্রা কমছে। গত এক সপ্তাহ ধরে এ অঞ্চলে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। সেইসঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা-রাত চারদিক ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ম্যানেজার সুপ্লব কুমার ঘোষ বলেন- ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টি সীমা কমে যাওয়ায় রাত সাড়ে ৮টা ও ৯টায় দুটি ফ্লাইট দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পরও অবতরণ করতে পারেনি। সন্ধার পর হঠাৎ কুয়াশার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় বিমানবন্দর এলাকায় দৃষ্টিসীমা কমে আসে।
তিনি আরও বলেন, শীতকালে বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রায়ই বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এজন্য ফ্লাইট চলাচলের শিডিউল পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে কোনো ফ্লাইট বাতিল করা হয় না।
এদিকে ফ্লাইট অবতরণ করতে না পারায় আটকা পড়া যাত্রী ও সংশ্লিষ্ট ফ্লাইট কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের মধ্যে বিমানবন্দরে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। শনিবার ফ্লাইটের পরবর্তীত সিডিউল নির্ধারণ করা হলেও দিনের ফ্লাইটগুলোতে সিডিউল পাওয়া নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ বাকবিতন্ডা হতে দেখা যায়। দুইটি ফ্লাইটের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন- সকল যাত্রীকে শনিবার একাধিক ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছানো হবে।
অপরদিকে নীলফামারীতে শীতের তীব্রতার সঙ্গে বাড়ছে শীতজনিত রোগবালাই। ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে হাসপাতালে। নীলফামারী জেনারেল হাসাপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. গোলাম রসুল রাকি জানান- শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় শীতজনিত ডায়রিয়া, নিউমনিয়া ও শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শয্যা এবং জনবলের তুলনায় রোগীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি হওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
শুক্রবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে জেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন।
সৈয়দপুর বিমান বন্দর আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লোকমান হাকীম জানান, শুক্রবার জেলার সৈয়দপুরে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এটি ছিল দেশের তৃতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
এদিকে তীব্র শীতের সাথে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে যান চলাচলও বিঘ্নিত হচ্ছে। বেকার হয়ে পড়েছে নিন্মআয়ের মানুষ।
দেশের উত্তরাঞ্চলের সৈয়দপুরই একমাত্র বিমানবন্দর। প্রতিদিন ঢাকার সাথে একাধিক ফ্লাইট এখানে উঠানামা করে।
বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, উত্তরের জেলা নীলফামারীতে প্রতিদিন তাপমাত্রা কমছে। গত এক সপ্তাহ ধরে এ অঞ্চলে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। সেইসঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা-রাত চারদিক ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ম্যানেজার সুপ্লব কুমার ঘোষ বলেন- ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টি সীমা কমে যাওয়ায় রাত সাড়ে ৮টা ও ৯টায় দুটি ফ্লাইট দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পরও অবতরণ করতে পারেনি। সন্ধার পর হঠাৎ কুয়াশার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় বিমানবন্দর এলাকায় দৃষ্টিসীমা কমে আসে।
তিনি আরও বলেন, শীতকালে বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রায়ই বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এজন্য ফ্লাইট চলাচলের শিডিউল পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে কোনো ফ্লাইট বাতিল করা হয় না।
এদিকে ফ্লাইট অবতরণ করতে না পারায় আটকা পড়া যাত্রী ও সংশ্লিষ্ট ফ্লাইট কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের মধ্যে বিমানবন্দরে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। শনিবার ফ্লাইটের পরবর্তীত সিডিউল নির্ধারণ করা হলেও দিনের ফ্লাইটগুলোতে সিডিউল পাওয়া নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ বাকবিতন্ডা হতে দেখা যায়। দুইটি ফ্লাইটের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন- সকল যাত্রীকে শনিবার একাধিক ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছানো হবে।
অপরদিকে নীলফামারীতে শীতের তীব্রতার সঙ্গে বাড়ছে শীতজনিত রোগবালাই। ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে হাসপাতালে। নীলফামারী জেনারেল হাসাপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. গোলাম রসুল রাকি জানান- শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় শীতজনিত ডায়রিয়া, নিউমনিয়া ও শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শয্যা এবং জনবলের তুলনায় রোগীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি হওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
শুক্রবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে জেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন।
সৈয়দপুর বিমান বন্দর আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লোকমান হাকীম জানান, শুক্রবার জেলার সৈয়দপুরে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এটি ছিল দেশের তৃতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
এদিকে তীব্র শীতের সাথে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে যান চলাচলও বিঘ্নিত হচ্ছে। বেকার হয়ে পড়েছে নিন্মআয়ের মানুষ।
দেশের উত্তরাঞ্চলের সৈয়দপুরই একমাত্র বিমানবন্দর। প্রতিদিন ঢাকার সাথে একাধিক ফ্লাইট এখানে উঠানামা করে।