কক্সবাজারের রামুতে গুলি করে দুটি গরু লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের অফিসেরচর চরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।- খবর দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশ।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকালে ঘটনাস্থলের পাশের একটি ক্ষেত থেকে মীর কাশেম নামের মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে গরু লুট আর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা এক নয় বলে দাবি করেছেন তিনি।
গরুর মালিক মোহাম্মদ আলীর দাবি, গরু ডাকাতি দেখে ফেলায় তার ভাতিজা মীর কাশেমকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গরু লুটের বিষয়টি জানিয়ে ৯৯৯-এ ফোন করলেও সময় মতো পুলিশ আসেনি।
তিনি জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল তার গোয়াল ঘরে থাকা ৭টি গরু নিয়ে যায়। রাতে তার মেয়ে গোয়ালঘর খালি দেখতে পেলে জামাতা ফারুকসহ পরিবারের সদস্যরা গরু খোঁজাখুঁজি শুরু করে। তারা প্রধান সড়কে গিয়ে দেখতে পান ডাকাত দল ৭টি গরু গাড়িতে তোলার চেষ্টা করছে। এ সময় তারা গরুগুলো ডাকাতদলের কবল থেকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
তিনি আরও জানান, ডাকাতরা ফারুককে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে তা লক্ষভ্রষ্ট হয়। ঘটনার পর থেকে তার ভাতিজা মীর কাশেম নিখোঁজ ছিল। সকালে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলের পাশের একটি সবজি ক্ষেতে হাত-পা-মুখ বাধা মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ এসে উদ্ধার করে।
গরুর মালিকের ছেলে তারেক ও মেয়ে শামীমা আকতার দাবি করেন, ডাকাতি চলাকালে ৯৯৯-এ কল করে পুলিশের সহায়তা চাইলেও পুলিশ আসে ১ ঘণ্টারও বেশি পরে। দেরিতে আসার পরও পুলিশের এক কর্মকর্তা ৯৯৯-এ কল করায় বাড়ির সদস্যদের বকাঝকা করেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জাফর আলম জানান, রাতে গরু ডাকাতির সময় মীর কাশেম দেখে ফেলে। সে মানসিক ভারসাম্যহীন। অপরিচিত লোকজন দেখলে সে চিল্লাচিল্লি করে। তাছাড়া গভীর রাতে হওয়ায় সে হয়তো চিৎকার দিতে চেয়েছিলো। এজন্য ডাকাতরা তাকে হত্যা করেছে বলে মনে হচ্ছে।
মোহাম্মদ আলীর জামাতা ফারুক জানান, গরুগুলো গাড়িতে তোলার সময় দুজন ডাকাত তাকে মারধর শুরু করে এবং বেধে রাখার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে গুলি করে। কিন্তু গুলিটি তার গায়ে লাগেনি। পরে বড় সাইজের দুটি গরু নিয়ে তারা পালিয়ে গেছে।
ওসি আনোয়ারুল হোসাইন জানান, যে মারা গেছে সে মানসিক রোগী। গরু ডাকাতি হয়েছে রাতে, আর তার মৃতদেহ পাওয়া গেছে সকালে। দুইটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে।
তবে ৯৯৯-এ ফোন করার কারণে বকাঝকা করার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন।