Advertisement


মহেশখালীর ধলঘাটায় জমি দখল করতে না পেরে মিথ্যা মামলার পাঁয়তারা!


বার্তা পরিবেশক।। মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটায় জোর করে জমি দখল করতে ব্যর্থ হয়ে ইস্কান্দার মির্জা পুতু নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার পাঁয়তারা করার অভিযযোগ পাওয়া গেছে। পুতুর সাথে তার ভাই মানিক এবং ওয়াসেফ, মোক্তার, নজরুল ও নাছিরও এই মিথ্যা মামলা দায়েরের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

স্থানীয় সাইফুল ইসলাম, এহসান হাবিব, মমতাজ, ফয়সাল, সাকিব,গাফফার,গিয়াসউদ্দিনসহ তাদের লোকজনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে- এমন অভিযোগ করেছে তারা।
সাইফুল ইসলাম জানান, ধলঘাটা ৩নং ওয়াডস্থ বনজামিরা ঘোনার জমি নিয়ে তাদের সাথে ইস্কান্দার মির্জা পুতুদের একটু বিরোধ রয়েছে। এই নিয়ে পুতুদের দায়ের করা তিনটি মামলায় বহু আগেই সাইফুল ইসলামদের পক্ষে রায় হয়। আগে থেকেই জমিগুলো তাদের ভোগ দখলে রয়েছে।
সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাগজপত্র সব ক্লিয়ার। সে মতে বংশপরম্পরায় আমরা জমিগুলো ভোগ দখলে রয়েছি। কিন্তু বার বার নকল কাগজপত্র দেখিয়ে জমিগুলো জবর দখল করার চেষ্টা করে। এর মধ্যে তিনটি মামলাও দায়ের করে। তিনটিই মামলাতে আমাদের পক্ষে রায় হয়। তারপরও সম্প্রতি আবার আরো একটি মামলা দায়ের করে। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু আইনকে তোয়াক্কা না করে জোর করে জমি দখল করতে চেষ্টা করে পুতুরা।
এর অংশ হিসেবে গত ১৯ জানুয়ারি আবারো সদলবলে জমি দখল করতে যায় পুতুরা। তবে উভয়পক্ষের মধ্যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু সে দিনের ঘটনাকে ইস্যু করে পুতু আহত হয়েছে দাবি করে একটি মিথ্যা মামলা করার পাঁয়তারা করছে।
সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, শত্রুতা হাসিল করার জন্য অসহায় মানুষকে ফাঁসানোর জন্য ভুয়া মেডিকেল সনদ তৈরি করে সিরাজ,মোক্তার আহমেদ মহেশখালী থানায় মামলা করতে দৌড়াদৌড়ি করছে।
ভুক্তভোগীরা বলেন, তাদের পুতুসহ দুই জন পলাতক আসামি। তিনজনই হত্যা মামলার আসামি। মুলত তারা প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এই অপচেষ্টা করছে। তাই আমরা স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যান ও সাধারণ লোকজনের কাছ থেকে যাচাই করে প্রকৃত সত্য জানার জন্য ওসি মহোদয়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
তবে এই বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
এদিকে ওই ঘটনার পর থেকে পুতু ও তার লোকজন প্রতিপক্ষের লোকজনকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে দাবি করেছেন তারা।