ঢাকা।। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোটারদের বড়ো দুঃখ হচ্ছে-তারা মেয়র হিসাবে যাকে নির্বাচিত করেন, তাদের কাছ থেকে কখনো পূর্ণ সেবা পায়নি। সিটির প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপি নেতা অধ্যাপক এমএ মান্নান। তিনি দায়িত্ব পালনের সুযোগ পান ১৮ মাস। অপরদিকে সিটির দ্বিতীয় মেয়র জাহাঙ্গীর আলম আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে বিজয়ী হলেও চেয়ারে বাইরে ছিলেন ১৮ মাস।
তৃতীয় মেয়াদের নির্বাচন সামনে। গাজীপুর সিটিবাসীর প্রশ্ন-৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়ে মেয়াদ পূর্ণ করতে না পারা-অত্যন্ত দুঃখজনক। ২৫ মে’র নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী যেন মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেন সেই প্রত্যাশা তাদের। সেই সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচন চান তারা। ২০১৩ সালের ৬ই জুলাই গাজীর সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে ১ লাখ ৬ হাজার ৬৬৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন অধ্যাপক এমএ মান্নান। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান হেরেছিলেন তখন। বিজয়ী হওয়ার ১৮ মাসের মাথায় এমএ মান্নানের ওপর প্রশাসনিক ঝড় শুরু হয়। তাকে মেয়র পদ থেকে বহিষ্কারও করা হয়। এমনকি জেল খাটেন ২২ মাস। তার অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন আসাদুর রহমান কিরণ।
দুই মেয়রের অবর্তমানে কৌশলে তিনি প্রায় ৫ বছর ভারপ্রাপ্ত হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালনে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও ওঠে। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন হলে আদালত বিষয়টি দুদককে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এদিকে সিটি নির্বাচনে আলোচিত দুই স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী (টেবিল ঘড়ি) প্রতীকের জায়েদা খাতুন ও হাতি প্রতীকের প্রার্থী সরকার শাহনূর ইসলাম রনি নৌকার প্রার্থী নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব তুলে ধরছেন।
২০১৩ সালে পাঁচ সিটি নির্বাচনে একমাত্র বরিশালের মেয়র ছাড়া নানা অজুহাতে বাকি চার মেয়রকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র এমএ মান্নান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পান মাত্র ১৮ মাস। জেলে কাটিয়েছেন ২২ মাস। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল ২৯টি। বরখাস্ত হয়েছিলেন দুইবার।
তাকে দুই দফায় বরখাস্তেরর ঘটনাকে ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার প্রতিফলন হিসাবে দেখেন নগরবাসী। তার অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হন আওয়ামী লীগ দলীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুর রহমান কিরণ। তিনি মহানগরের টঙ্গী জোনের ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। এ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য পদপ্রার্থী ছিলেন। কিন্তু তিনি দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে কাউন্সিলর নির্বাচনে অংশ নেননি।
২০১৩ সালের ৬ জুলাই প্রথম দফায় গাজীপুর সিটি নির্বাচনে জয়ী অধ্যাপক এমএ মান্নান ১৮ আগস্ট দায়িত্বভার বুঝে নেন। এর ১৮ মাসের মাথায় ২০১৫ সালের ১১ ফেরুয়ারি জয়দেবপুর থানা পুলিশ একটি নাশকতা মামলায় তাকে ঢাকার বাসা থেকে গ্রেফতার করে। ১২ মাস ১৮ দিন কারাভোগের পর ২০১৬ সালের ২ মার্চ তিনি মুক্তি পান। এর ৪২ দিনের মাথায় ১৫ এপ্রিল তিনি আবার গ্রেফতার হন। ৮ মাস ২২ দিন কারাবন্দি থাকার পর ১৭ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় তিনি মুক্তি পান। ২০২২ সালের ২৮ এপ্রিল অধ্যাপক এমএ মান্নান মৃত্যুবরণ করেন।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলার বিষয়টি সমর্থন করেননি। ওই নির্বাচনে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী ছিলেন। পরে তিনি বহু নাটকীয়তার পর আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। পরে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় মেয়াদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে জাহাঙ্গীর আলম বিএনপি প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকারকে বিপুল ভোটে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। কিন্তু মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দলীয় মেয়র হয়েও তিনি তার নির্ধারিত মেয়াদ পূরণ করতে পারেননি।
২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর গোপনে ধারণ করা মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভাইরাল হলে তার কপাল পোড়ে। তাকে দলীয় পদ এবং মেয়র পদ হারাতে হয়। আইন-আদালত করেও তিনি তার পদ ফিরে পাননি। এই নির্বাচনে তিনি প্রচারণা চালাচ্ছেন এখন মায়ের পক্ষে।
তৃতীয় মেয়াদের নির্বাচন সামনে। গাজীপুর সিটিবাসীর প্রশ্ন-৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়ে মেয়াদ পূর্ণ করতে না পারা-অত্যন্ত দুঃখজনক। ২৫ মে’র নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী যেন মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেন সেই প্রত্যাশা তাদের। সেই সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচন চান তারা। ২০১৩ সালের ৬ই জুলাই গাজীর সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে ১ লাখ ৬ হাজার ৬৬৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন অধ্যাপক এমএ মান্নান। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান হেরেছিলেন তখন। বিজয়ী হওয়ার ১৮ মাসের মাথায় এমএ মান্নানের ওপর প্রশাসনিক ঝড় শুরু হয়। তাকে মেয়র পদ থেকে বহিষ্কারও করা হয়। এমনকি জেল খাটেন ২২ মাস। তার অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন আসাদুর রহমান কিরণ।
দুই মেয়রের অবর্তমানে কৌশলে তিনি প্রায় ৫ বছর ভারপ্রাপ্ত হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালনে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও ওঠে। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন হলে আদালত বিষয়টি দুদককে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এদিকে সিটি নির্বাচনে আলোচিত দুই স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী (টেবিল ঘড়ি) প্রতীকের জায়েদা খাতুন ও হাতি প্রতীকের প্রার্থী সরকার শাহনূর ইসলাম রনি নৌকার প্রার্থী নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব তুলে ধরছেন।
২০১৩ সালে পাঁচ সিটি নির্বাচনে একমাত্র বরিশালের মেয়র ছাড়া নানা অজুহাতে বাকি চার মেয়রকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র এমএ মান্নান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পান মাত্র ১৮ মাস। জেলে কাটিয়েছেন ২২ মাস। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল ২৯টি। বরখাস্ত হয়েছিলেন দুইবার।
তাকে দুই দফায় বরখাস্তেরর ঘটনাকে ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার প্রতিফলন হিসাবে দেখেন নগরবাসী। তার অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হন আওয়ামী লীগ দলীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুর রহমান কিরণ। তিনি মহানগরের টঙ্গী জোনের ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। এ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য পদপ্রার্থী ছিলেন। কিন্তু তিনি দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে কাউন্সিলর নির্বাচনে অংশ নেননি।
২০১৩ সালের ৬ জুলাই প্রথম দফায় গাজীপুর সিটি নির্বাচনে জয়ী অধ্যাপক এমএ মান্নান ১৮ আগস্ট দায়িত্বভার বুঝে নেন। এর ১৮ মাসের মাথায় ২০১৫ সালের ১১ ফেরুয়ারি জয়দেবপুর থানা পুলিশ একটি নাশকতা মামলায় তাকে ঢাকার বাসা থেকে গ্রেফতার করে। ১২ মাস ১৮ দিন কারাভোগের পর ২০১৬ সালের ২ মার্চ তিনি মুক্তি পান। এর ৪২ দিনের মাথায় ১৫ এপ্রিল তিনি আবার গ্রেফতার হন। ৮ মাস ২২ দিন কারাবন্দি থাকার পর ১৭ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় তিনি মুক্তি পান। ২০২২ সালের ২৮ এপ্রিল অধ্যাপক এমএ মান্নান মৃত্যুবরণ করেন।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলার বিষয়টি সমর্থন করেননি। ওই নির্বাচনে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী ছিলেন। পরে তিনি বহু নাটকীয়তার পর আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। পরে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় মেয়াদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে জাহাঙ্গীর আলম বিএনপি প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকারকে বিপুল ভোটে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। কিন্তু মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দলীয় মেয়র হয়েও তিনি তার নির্ধারিত মেয়াদ পূরণ করতে পারেননি।
২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর গোপনে ধারণ করা মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভাইরাল হলে তার কপাল পোড়ে। তাকে দলীয় পদ এবং মেয়র পদ হারাতে হয়। আইন-আদালত করেও তিনি তার পদ ফিরে পাননি। এই নির্বাচনে তিনি প্রচারণা চালাচ্ছেন এখন মায়ের পক্ষে।