# উপজেলা প্রশাসন, বেজা ও বন-বিভাগের অভিযান
# কারা এ দখলের সাথে জড়িত -কিছুই জানে না বন-বিভাগ
# বেজা বলছে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে
মাহবুব রোকন।। মহেশখালীর কুতুবজোমে উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ অভিযান চালিয়ে অবৈধ দখলে যাওয়া প্রায় ১০ একর সরকারি জমি দখলমুক্ত করেছে। প্যারাবন সাবাড় করে বাঁধ দিয়ে চিংড়ী ঘের করতে এ জমিগুলো দখল করা হয় এবং সোমবার সে বাঁধ কেটে দিয়ে এ সব জমি দখলমুক্ত করে প্রশাসন। এ সময় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)র কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
বন বিভাগের মহেশখালী উপজেলাধীন গোরকঘাটা রেঞ্জ এর প্রধান কর্মকর্তা আইয়ুব আলী জানান- উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গা এলাকায় কতিপয় লোক প্রথমে কাটি-গোদা আকারে খালের পাড়ে একটি বাঁধ দেয়, পরে তা সম্প্রসারণ করে অবৈধ ভাবে ঘের নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এই জমিগুলো এক সময় বন বিভাগের আওতাধীন থাকলেও বিগত সময়ে ৩,৩৮১ দাগের এ সব জায়গা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)র কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে এই জায়গার মালিক বেজা।
তিনি বলেন- বিভিন্ন সূত্র তারা সম্প্রতি এই অবৈধ দখলের বিষয়টি অবগত হন, একই ভাবে উপজেলা প্রশাসনও বিষয়টি জ্ঞাত হন। পরে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ওই অবৈধ দখল উচ্ছেদ এর উদ্যোগ নেওয়া হয়। ৮ মে (সোমবার) উপজেলা প্রশাসন এখানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন, অভিযানে বন বিভাগ উপজেলা প্রশাসনকে সহযোগিতা করেন।
এ সময় বন বিভাগের মহেশখালীস্থ ঘটিভাঙ্গা বিট কর্মকর্তা দিবাস মালাকারসহ ঝাপুয়া বিট কর্মকর্তাসহ ১৫ জন বনকর্মী এবং ৫০জন শ্রমিক উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেন। অভিযানকালে ঘেরের বাঁধ কেটে দিয়ে অন্ততঃ ১০ একর জমি দখলমুক্ত করা হয়। অভিযানের সময় কোনো প্রতিবন্ধকতা আসেনি এবং কোনো প্রকার গুলি বিনিময় করতে হয়নি বলে জানান- বন বিভাগের এ কর্মকর্তা। কে বা করা এ দখলের সাথে যুক্ত সে বিষয়ে তার কাছে তথ্য নেই উল্লেখ করে এ নিয়ে মামলা বা পরবর্তী আইনগত উদ্যোগ উপজেলা প্রশাসন বা অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ নিবেন বলে জানান তিনি।
এদিকে অভিযানের আগে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)র কর্মকর্তা মাহাবুব আলম জানিয়েছিলেন- অবৈধ দখলের বিষয়টি তারা ইতোমধ্যে অবগত হয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দখলকৃত জায়গা উদ্ধার করে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
এ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইয়াছিন জানিয়েছেন- উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গা এলাকায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)র জমি দখল করে অবৈধ ঘের নির্মাণের তথ্য পাওয়ার পর উপজেলা প্রশাসন এখানে অভিযান পরিচালনার উদ্যোগ নেন। বন বিভাগের সহযোগিতায় পরিচালিত এ অভিযানে অবৈধ দখলে যাওয়া সরকারি জমি উদ্ধার করা হয়। দখলদাররা যেই হোক এমন কাজের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানাচ্ছে- মহেশখালী পৌরসভার কমিশনার আবু তাহের, উপজেলা শ্রমীক লীগ নেতা জসিম উদ্দিন ও নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দখলদারচক্র বিগত বেশ কিছুদিন ধরে প্যারাবন কেটে, সরকারি ভূমি দখল করে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি কেটে বাঁধ নির্মাণ করে চিংড়ী ঘের প্রস্তুত করে। বন বিভাগের বিট অফিসের খুব কাছেই এমন ঘটনা চলে আসলেও এতোদিন বন বিভাগ রহস্যজনক ভাবে নীরব ভূমিকা পালন করে আসছিলো।
তিনি বলেন- বিভিন্ন সূত্র তারা সম্প্রতি এই অবৈধ দখলের বিষয়টি অবগত হন, একই ভাবে উপজেলা প্রশাসনও বিষয়টি জ্ঞাত হন। পরে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ওই অবৈধ দখল উচ্ছেদ এর উদ্যোগ নেওয়া হয়। ৮ মে (সোমবার) উপজেলা প্রশাসন এখানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন, অভিযানে বন বিভাগ উপজেলা প্রশাসনকে সহযোগিতা করেন।
এ সময় বন বিভাগের মহেশখালীস্থ ঘটিভাঙ্গা বিট কর্মকর্তা দিবাস মালাকারসহ ঝাপুয়া বিট কর্মকর্তাসহ ১৫ জন বনকর্মী এবং ৫০জন শ্রমিক উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেন। অভিযানকালে ঘেরের বাঁধ কেটে দিয়ে অন্ততঃ ১০ একর জমি দখলমুক্ত করা হয়। অভিযানের সময় কোনো প্রতিবন্ধকতা আসেনি এবং কোনো প্রকার গুলি বিনিময় করতে হয়নি বলে জানান- বন বিভাগের এ কর্মকর্তা। কে বা করা এ দখলের সাথে যুক্ত সে বিষয়ে তার কাছে তথ্য নেই উল্লেখ করে এ নিয়ে মামলা বা পরবর্তী আইনগত উদ্যোগ উপজেলা প্রশাসন বা অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ নিবেন বলে জানান তিনি।
এদিকে অভিযানের আগে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)র কর্মকর্তা মাহাবুব আলম জানিয়েছিলেন- অবৈধ দখলের বিষয়টি তারা ইতোমধ্যে অবগত হয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দখলকৃত জায়গা উদ্ধার করে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
এ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইয়াছিন জানিয়েছেন- উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গা এলাকায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)র জমি দখল করে অবৈধ ঘের নির্মাণের তথ্য পাওয়ার পর উপজেলা প্রশাসন এখানে অভিযান পরিচালনার উদ্যোগ নেন। বন বিভাগের সহযোগিতায় পরিচালিত এ অভিযানে অবৈধ দখলে যাওয়া সরকারি জমি উদ্ধার করা হয়। দখলদাররা যেই হোক এমন কাজের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানাচ্ছে- মহেশখালী পৌরসভার কমিশনার আবু তাহের, উপজেলা শ্রমীক লীগ নেতা জসিম উদ্দিন ও নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দখলদারচক্র বিগত বেশ কিছুদিন ধরে প্যারাবন কেটে, সরকারি ভূমি দখল করে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি কেটে বাঁধ নির্মাণ করে চিংড়ী ঘের প্রস্তুত করে। বন বিভাগের বিট অফিসের খুব কাছেই এমন ঘটনা চলে আসলেও এতোদিন বন বিভাগ রহস্যজনক ভাবে নীরব ভূমিকা পালন করে আসছিলো।