কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহম্মদ শাহীন ইমরানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত) মোঃ জহুরুল হক।
গণশুনানিতে কক্সবাজার জেলায় বিভিন্ন উপজেলার ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে বিভিন্ন অভিযোগ শুনেন। এক পর্যায়ে মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছড়ার বাসিন্দা সোহানুর রহমান অভিযোগ আনেন জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণ বাবদ এলএ শাখার চেক পাশের বিনিময়ে কক্সবাজার জেলা একাউন্টস অফিসার শাহাব উদ্দিন ও একই অফিসের এসএএস সুপার মোঃ সাইফুর রহমানকে ৭০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে এর পরই চেক পাশ করেন বলে অভিযোগ আনেন।
ভুক্তভোগীর কাছে এমন অভিযোগ শুনে দুদকের কমিশনার (তদন্ত)জহুরুল হক বিষ্মিত হন এবং এ বিষয়ে জেলা একাউন্টস অফিসার সাহাব উদ্দিনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেনি বলে জানা যায় এবং ঘটনাটি তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়৷
এ বিষয়ে জানতে ভুক্তভোগী সোহানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান- দুদকের গণশুনানীতে আমি যা সত্য এবং আমার সাথে যা ঘটেছে তা বলেছি। আমার চেক পাশ করার জন্য সাইফুর রহমান ও শাহাব উদ্দিন ৭০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার পর আমার চেক পাশ করেছে। তাদেরকে টাকা না দিলে কোন চেক পাশ করে না।
সূত্রে জানা যায় -কক্সবাজার ভূমি অধিগ্রহন শাখা হতে MICR চেক প্রস্তুতের জন্য কক্সবাজার জেলা একাউন্টস অফিসে প্রেরণ করা হয়। সেখানে দীর্ঘদিন হলেও ঘুষ না পেলে চেক পাশ করেন না জেলা একাউন্টস অফিসার শাহাব উদ্দিন। তিনি ঘুষের টাকা নেওয়ার জন্য আরেক কর্মকর্তা সাইফুর রহমানসহ গড়ে তোলেন শক্ত সিন্ডিকেট। ঘুষ পেলেই দ্রুত এলএ চেক পাশ করেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
এবিষয়ে জানতে কক্সবাজার জেলা একাউন্টস অফিসার শাহাব উদ্দিন ও এসএএস সুপার মোঃ সাইফুর রহমানকে মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে দুদক কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দুদকের গণশুনানিতে একাউন্টস অফিসের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের ঘুষের অভিযোগের বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে বলে স্বীকার করেন।