গতকাল (শনিবার) রাতে উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের হরিয়ারছড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই নারীর নাম সুখি আকতার(৩২)। তিনি ৪শিশু সন্তানের জাননী।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়- বিয়ের পর কিছুদিন ওই নারীর সংসর সুখের থাকলেও বিগত সময় ধরে সংসারে পারিবারিক কলহ লেগেই আছে। ওই নারী গ্রাম্য ধাত্রির কাজ করতেন। পারিবারিক কলহের জেরে বিভিন্ন সময় ওই নারীতে তার স্বামী পিটিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে বিগত সময় স্থানীয় শালিস বিচারসহ এলাকার ইউপি মেম্বারের কাছে শালিস হয় বলেও জানা গেছে।
গতকারও একই ভাবে মারধর করার সময় শরিরের স্পর্শকাতর স্থানে লাথির আঘাতে ওই নারীর তাৎক্ষণিক মৃত্যু হয় বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। পরে রাতেই স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সমাধান হয় এবং এ নিয়ে কোনো প্রকার ঝামেলা না পাকানোর সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে।
এদিকে সকালে খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে নিহতের স্বজনরা এটি স্বভাবিক মৃত্যু বলে দাবী করেন।
তারা বলেন- রাতে পাশের বাড়িতে ধাত্রি হিসেবে কাজ করে এসে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন, ঘুমন্ত অবস্থায়ই তার মৃত্যু হয়।
তবে বিষয়টি নিয়ে নিহতের স্বজনদের দেয়া তথ্যে অসংলগ্নতা লক্ষ্য করা যায়। তাদের কেউ কেউ বলছেন- রাতের ঘুমের মধ্যেই এ নারীর মৃত্যু হয়েছে। আবার কেউ বলছেন- রাতে তিনি অসুস্থ ও তার শরীরে ব্যথা হলে তার শরীরে মলম লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরে ভোরে বিচানায় তার নিথর দেহ পাওয়া যায়। এক পর্যায়ে তাকে হাসপাতালে নেয়ার সময় পথেই তার মৃত্যু হয়। এ সব বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এটিকে রহস্যজনক মৃত্যু বলে মনে করছেন অনেকে।
এ বিষয়ে মহেশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাজুল ইসলাম জানান- এ রকম ঘটনা নিয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।