ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন রাতে চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের পুরুইত্যাখালী এলাকার ২৫ বছর বয়সী এক নারীকে রাতের আঁধারে বারবাকিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে আসেন একই বিদ্যালয়ের কর্মরত নৈশ প্রহরী কাম-দপ্তরী মো: আবু তালেব। দপ্তরীর সাথে রাতের আঁধারে বিদ্যালয়ে নারী প্রবেশের ঘটনাটি স্থানীয় কয়েকজন আঁচ করতে পেরে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় লোকজনকে খবর দেয়। পরে স্থানীয়রা এসে রাতের আঁধারে বিদ্যালয় ঘেরাও করে তাদের দুউজনকে আটক করেন। পরে কৌশলে ওই নারীকে স্কুলের নিচ তলায় রেখে পালিয়ে যায় দপ্তরী আবু তালেব। তিনি বারবাকিয়া ইউনিনের পাহাড়িয়াখালী গ্রামের মো: হোসেনের ছেলে এবং ওই স্কুলে ৮/১০ বছর ধরে নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরী পদে চাকুরী করছেন। তিনি বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জনক।
বারবাকিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের কয়েকজন অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রায় সময় রাতে আঁধারে বিদ্যালয়ের ডিউটি করাকালীন বিভিন্ন এলাকা থেকে একেক দিন একেক নারীকে এনে স্কুলে রাত কাটান ওই দপ্তরী। বিষয়টি একাধিকবার বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও তারা কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এর ফলে দিন দিন ওই দপ্তরী বেপরোয়া হয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ে স্কুলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে।
এদিকে রাত একই দিন রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ঘটনাটি আপস-মীমাংসা করে রাতেই ওই নারীর হাতে ১০ হাজার টাকা দিয়ে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় দপ্তরীর পক্ষের কয়েকজন লোক।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বারবাকিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: নাছির উদ্দিন বলেন,দপ্তরীর কারণে বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে আলাপ-আলোচনা করে অভিযুক্ত দপ্তরীকে চাকুরীচ্যুত করা হবে।