এদিকে প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে ভোটাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে প্রার্থীরা বিভিন্ন এলাকায় শোডাউনসহ ভোটারদের সাথে কৌশলদী বিনিময় শুরু করেছে।
মহেশখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী ভোটের মাঠে আসলেও মুলত ৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ত্রি-মুখী লড়াই হবে বলে জানান ভোটারেরা। তারা হলেন গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইচ চেয়ারম্যান পদে অংশ গ্রহণে করে অল্প ভোটের জন্য হেরে যাওয়া মহেশখালী উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু ছালেহ। তিনি মাতারবাড়িতে থেকে নির্বাচন করতেছেন। তার রয়েছে বিশাল ভোট ব্যাংক। মহেশখালীর উত্তরের হিসাব-নিকাশে বেশ এগিয়ে রয়েছেন তিনি। এমনকি তিনি আওয়ামী লীগের একটি অংশের সমর্থন নিয়ে ভোটের মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন। মুলত তিনিই এভাবের হট ফেভারিট বলে জানান ভোটেরা।
এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র রাজনীতি করা সকলের পরিচিত মুখ ক্লিন ইমেজের যুবলীগ নেতা মিফতাহুল করিম বাবু। তিনি মহেশখালী পৌরসভা থেকে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছেন এছাড়াও তিনি প্রফেসর ড. আনসারুল করিমের ভাতিজা। তিনি দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের রাজনীতি করার কারণে তার রয়েছে বিশাল ভোট ব্যাংক। হয়ত তিনিই বাজিমাৎ করতে পারেন তরুন এই যুবলীগ নেতা। এছাড়াও বিএনপি সমর্থিত জাহিদুল হুদা বড় মহেশখালী থেকে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন। বিএনপির সমর্থিত বিভিন্ন এলাকায় ভোট ব্যাংক রয়েছে। এছাড়াও বড় মহেশখালীতে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ ফেভারিট প্রার্থী থাকায় ভোটের কাস্টিং সব চেয়ে বেশি হবে বলে মনে করেন ভোটারেরা। এই সুযোগে নিজ ইউনিয়নের সন্তান হিসাবে জাহিদুল হুদাকে ভোট দিবেন ভোটারেরা এমন মত দেন ভোটারেরা।
এছাড়াও অন্যান্য যে ৩ জন প্রার্থী রয়েছেন তারা হলেন ধলঘাটার সাইফুল কদির,কালারমার ছড়ার শাহাজাহান ফারুল ও পৌরসভার মঈন উদ্দিন তোফায়েল। ভোটারেরা জানান ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী থাকলেও তারা এই তিনজনে আগে চিনতেন না। তারা মনে করেন পরিচিতি লাভের জন্য ভাইস চেয়ারম্যান পদে এই ৩ জন প্রার্থী হয়েছেন বলে জানান।