Advertisement


মহেশখালীর গোরকঘাটা বাজারে রাজাকার পুত্রের হামলায় শিক্ষক গুরুতর আহত, থানায় এজাহার


বার্তা পরিবেশক।। মহেশখালী উপজেলার মহেশখালী পৌরসভার গোরকঘাটা বাজারে রাজাকার পুত্রের হামলায় এক স্কুল শিক্ষক গুরুতর আহত হয়েছে। আহত শিক্ষকের নাম কবির আহমদ, বয়স ৪৮ বছর। তিনি ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের দক্ষিণকুল এলাকার জনৈক জালাল আহমদ এর পুত্র এবং স্থানীয় ছোট মহেশখালী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৬ জুন (রবিবার) রাতে গোরকঘাটা বাজারে। এ নিয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে- ঘটনার দিন কবির মাস্টার বাজারের একটি মুদির দোকানে বসা অবস্থায় ছিলেন। এ সময় আকষ্মিক ভাবে ওই দোকানের সামনে গিয়ে আব্দুল মাবুদ ও তার অন্যতম সহযোগী জাবেদের নেতৃত্বে একদল লোক। তারা বিভিন্ন দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত ছিলো। তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে কবির আহমদকে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে গুরুতর আহত করে হামলাকারীরা বীরদর্পে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- এ শিক্ষকের কোনো এক আত্মীয়ের সাথে হামলাকারীদের মধ্যে ট্রলার সংক্রান্ত বিরোধ চলছিলো, বিষয়টি কোনো ভাবেই অবগত ছিলেন না শিক্ষক কবির আহমদ, অবগত থাকার কথাও না। বাজারে একা পেয়ে আত্মীয়ের ক্ষোভ ঝাড়তে নিরীহ এ শিক্ষকের উপর হামলা চালানো হয়।

জানা গেছে- ঘটনার মূল হোতা -আব্দুল মাবুদ ও তার অন্যতম সহযোগী জাবেদ মাদকাসক্ত ও চরম উশৃংখল প্রকৃতির লোক। মাবুদ ছোট মহেশখালী তালিভুক্ত রাজাকার মমতাজ চৌকিদার এর পুত্র। সে অনলাইন জুয়ার স্থানীয় এজেন্ট এবং সুদি মহাজন হিসেবে পরিচিত। হামলাকারী আব্দুল মাবুদের বড় ভাই এসআই ফারুক বর্তমানে চট্টগ্রামের খুলশী থানার কর্মরত। এলাকায় সে তার এই পুলিশ ভাই এর প্রভাব বিস্তার করে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। সে ছোটো মহেশখালীর ডেইলপাড়া, ঠাকুরতলাসহ আশপাশের এলাকায় মাদকের ডেরা এবং অনলাইনে জোয়ার এজেন্ট খুলে এলাকার উটতি বয়সের যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে বলেও স্থানীয় অনেকের অভিযোগ।

সেদিনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ব্যক্তি- একজন রাজাকার পুত্র কর্তৃক পৌরসভার বাজারে এভাবে মহড়া চালিয়ে শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনায় বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন। তারা এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।

হামলায় আহত শিক্ষক কবির আহমদ জানান-
"কোনো কারণ ছাড়াই হামলাকারীরা আমার উপর হামলা করে আমাকে গুরুতর আহত করেছে।"- এ নিয়ে তিনি রাষ্ট্রের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

অভিযুক্ত রাজাকারপুত্র আব্দুল মাবুদ জানায়- "কবির মাস্টারের এক আত্মীয়ের কাছ থেকে টাকা পাচ্ছি। তা না দেওয়ার কারণে মুলতঃ এ ঘটনা ঘটেছে।"

এদিকে বর্তামানে ওই শিক্ষকের পরিবার বেশ নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছে দাবি করে দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।