সূত্রে জানা যায়- উপজেলার কালারমার ছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা মৌজায় স্বপন বড়ুয়া গং এর দখলে থাকা বসত ভিটা নিয়ে স্থানীয় ওননাং বড়ুয়া গং এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে ভুক্তভোগী স্বপন বড়ুয়া গং
মহেশখালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ ও মহেশখালী সহকারী জজ আদালতে প্রি-এমশন মামলা করেন এবং এডিএম কোর্টে ১৪৪ ধারা জারি করেন। কিন্তু আদালতের আদেশ অমান্য করে উক্ত জায়গায় দখল নেওয়ার চেষ্টা করেন ননাই গং।
ভুক্তভোগী স্বপন বড়ুয়া, তেময় বড়ুয়ারা জানান- উত্তর নলবিলা মৃত রবিন্দ্র বড়ুয়ার ছেলে ননাই বড়ুয়া(৪৮) গোপনে মালেশিয়ায় বসে মোবাইলের মাধ্যমে দিলীপ বড়ুয়ার থেকে শরিকদারদের না জানিয়ে ০৫/১১/২০১৮ সাল ০.০৩৬৬ একর জমি ক্রয় করেন।গত মে মাসে ননাই বড়ুয়ার পিতার মৃত্যু হলে সে মালেশিয়া থেকে বাংলাদেশে আসে।মালেশিয়া থেকে আসার কয়েকদিন পর লোকমারফত খবর পায় স্বপন বড়ুয়া,তেময় বড়ুয়া দিলীপ বড়ুয়া হতে ননাই বড়ুয়া দিলীপ বড়ুয়ার অংশটি কিনে নেন।স্বপন বড়ুয়া,তেময় বড়ুয়া অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে কক্সবাজার গিয়ে একজন আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করে অগ্রক্রয়ের মামলা করেন যার মামলা নং অপর ২১/২০২৪ পরে কোর্ট আদেশ দিলে উক্ত দলিলের উপর তিনলক্ষ পনের হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দেন তারা।এর আগে ননাই বড়ুয়া তার স্ত্রী বুলু বড়ুয়া,বুলু বড়ুয়ার বোনের জামাই পোপন বড়ুয়া প্রকাশ পুইন্যা ও তার স্ত্রী মতি বড়ুয়া বসত ভিটা জবর দখলের চেষ্টা চালালে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট'র আদালতে এমআর মামলা করেন যার মামলা নং ৫১০/২০২৪ এবং কোর্ট ১৪৪ ধারা জারি করেন। এতে ননাই বড়ুয়া,বুলু বড়ুয়া,পোপন বড়ুয়া প্রকাশ পুইন্যা,মতি বড়ুয়া ক্ষিপ্ত হয়ে ২৪ জুন সকাল ৮টায় দেশিয় লম্বা দা,বেটে দা,সাবল,খুন্তি নিয়ে স্বপন বড়ুয়া ও তেময় বড়ুয়ার বাড়িঘরে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাট করে যার ভিডিও চিত্র ভুক্তভোগীরা সংরক্ষণ করেছে।
পরে স্বপন বড়ুয়া বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় অভিযোগ করেন মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) সুকান্ত চক্রবর্তী এসআই রোকনুজ্জমানকে তদন্তের আদেশ দেন।এসআই রোকনুজ্জমান ঘটনাস্থলে আসলে ননাই বড়ুয়া ও তার সহযোগীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।তদন্ত কর্মকর্তা এসে ভাংচুরের সত্যতা পায়।ননাই বড়ুয়াকে ফোন করে এসাই রোকনুজ্জমান জানায় আপনারা আদালতের আদেশ অমান্য করেছে বলে আপনি থানায় যোগাযোগ করবেন।বর্তমানে স্বপন বড়ুয়া ও তেময় বড়ুয়ার পরিবার যেকোনো মুহূর্তে হামলার শিকার হতে পারে বলে বাঁচার আকুতি জানিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,সুশীল সমাজ,পুলিশ প্রশাসনের আশ্রয় চেয়েছেন।