Advertisement


মহেশখালী সাব-রেজিস্টার অফিস দুর্নীতির আখড়া

টিটিএন।। মহাপরিকল্পনাভুক্ত এলাকা হওয়ায় কক্সবাজারের বেশ কিছু মৌজায় জমি ক্রয়-বিক্রয়ে জেলা প্রশাসকের অনুমোদন নেয়ার নির্দেশনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের। ২০১২ সালের মে মাসে এ সংক্রান্ত চিঠি কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে প্রেরণের পর থেকেই এ নির্দেশনা কার্যকর হয়।


কিন্তু সম্প্রতি মহেশখালীতে জমি ক্রয়-বিক্রয়ে জেলা প্রশাসকের অনুমোদন ছাড়াই রেজিস্ট্রি কার্যক্রম সম্পাদন করে নামজারি করে খতিয়ান পর্যন্ত তৈরি হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর এতে জড়িত আছেন মহেশখালী সাব-রেজিস্ট্রার ও ভূমি কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সম্প্রতি একটি ক্রয়-বিক্রয় হওয়া জমির রেজিস্ট্রি দলিল আমাদের হাতে আসে। যা পর্যালোচনা করে দেখা যায় জেলা প্রশাসকের অনুমোদনের নামে দেওয়া হয়েছে ভুয়া স্মারক নম্বর।

চলতি বছরের এক এপ্রিল মহেশখালীর গোরকঘাটা মৌজার বিএস ৪৩৭ নম্বর খতিয়ানের একটি জমি রেজিস্ট্রি হয় ৮৩৩ নম্বর দলিলে। ওই দলিলে দেয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অনুমোদন পত্রের সংযুক্ত স্মারক নম্বরটি সম্পূর্ণ ভুয়া। যার প্রমাণ পাওয়া যায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্মারক বইয়ে দলিলে উল্লেখিত ৫৫১৮ নম্বর এর কোনো স্মারক লিপিবদ্ধই নেই।

জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে ৫ মে একটি চিঠিতে মহেশখালী সাব-রেজিস্ট্রারকে এ ভুয়া স্মারক নম্বরে সৃজিত দলিল নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। কিন্তু এ সংক্রান্ত কোনো প্রতিবেদন এখনো দেননি সাব-রেজিস্ট্রার।

কিন্তু জমি ক্রয়কারী প্রিয়তোষ দে ধূর্ততার সাথে দ্রুত সময়ে নামজারি করে খতিয়ান সৃজন করার জন্য আবেদন করেন উপজেলা ভুমি কার্যালয়ে। যা ওই কার্যালয়ের কর্মচারীদের যোগসাজশে এখন প্রক্রিয়াধীন।

ওই দলিলের কারনে ভুক্তভোগী হয়েছেন পার্শ্ববর্তী জমির মালিক। তাদের অভিযোগ এতে তাদের জমিও রেজিস্ট্রি দেয়া হয়েছে। ওই খতিয়ানে বিক্রয় করা ওয়ারিশের ২ শতক জমি থাকলেও তড়িঘড়ি করে ভুয়া স্মারক করে রেজিস্ট্রি নেয়া হয় ৮ শতক। এনিয়ে উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে তারা অভিযোগও দিয়েছেন।

উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার আব্দুল্লাহ আল মামুন এ বিষয়ে অনেকটা দায় স্বীকার করেই মুঠোফোনে জানান, কয়েকজন কর্মচারী এতে জড়িত। যারা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মচারীদের সাথে মিশে এসব করে থাকেন। তবে ভুক্তভোগীরা এ নিয়ে অভিযোগ দিলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।

কিন্তু জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রতিবেদন দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সময় স্বল্পতার কথা বলে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

মহেশখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি তাছবীর হোসেন বলেন, এনিয়ে অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এমন বিষয়ে তিনি দুষলেন সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়কে।