Advertisement


ঘাট থেকে সরিয়ে দেওয়া পন্টুন ফিরিয়ে এনে ফের বসানোর দাবি মহেশখালীবাসীর


ফারুক ইকবাল।। নতুন ভাবে দ্বীপ জুড়ে চলছে নানান আলোচনা আলোচনা সমালোচনায় চলে এসেছে মহেশখালী ঘাটে যাত্রীসেবার ইস্যুটি। সাধারণের দাবি বিগত সময় এ ঘাট থেকে সরিয়ে দেওয়া যাত্রী উঠানামার পন্টুনটি ফের এই ঘাটে বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হোক।

মহেশখালীর জনসাধারণের অভিমত- স্বাধীনতার ৫০ পেরিয়েও এ ঘাটে নিশ্চিত হয়নি যাত্রী সেবা, হয়নি যাত্রী চাউনি, টয়লেট-সহ যাত্রী সুরক্ষার ব্যবস্থা। এ নিয়ে যাত্রীদের মাঝে রয়েছে চরম অসন্তোষ ৷ ঘাটের সেবা নিয়ে ভোগান্তিরও অন্ত নেই। গ্রীষ্মকালে তীব্র রোদে জেটির উপর দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে যায় মানুষ। রোগী বা বৃদ্ধ বয়সের হলে একেবারেই তো দাঁড়ানো দায় ৷


একইভাবে বর্ষার বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বোটে উঠার তাড়াহুড়োতে কারো পা আটকে যায় কাঠের জেটিতে, কারোবা পা বেটের রশিতে আটকে অথবা কেউ কেউ ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে যায় নদীর পানিতে। এমন দৃশ্য হরহামেশাই দেখা যায়।

ঘাট ব্যবহারকারী লোকজনের অভিমত- ওপারে কক্সবাজারের ৬ নম্বর ঘাটে বিআইডব্লিটিএর পন্টুন থাকলেও মহেশখালী ঘাটে পন্টুনের মত কোন কিছুর ব্যবস্থা না থাকায় বছরের পর বছর যাত্রীদের কাদা পানি-সহ বিভিন্ন ধরণের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেবা দেয়ার বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকলেও যাত্রীদের নিয়মিত খাস কালেকসনের টাকা পরিশোধ করে যাতায়াত করতে হয়। কক্সবাজার যাতায়াতের একমাত্র ও শেষ ভরসা হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে মহেশখালী-কক্সবাজার নৌ-রুট। শেষ ভরসা এই দুইটি ঘাটও। এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজর যাত্রীরা যাতায়াত করে । এতে করে প্রতিদিন কোন না কোনভাবে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ে আসছে।

যাত্রীদের এসব ভোগান্তি কথা বিবেচনা করে কিছুটা হলেও যাত্রীসেবার মান বাড়ানোর লক্ষ্যে বিগত সময় বিআইডব্লিউটি কর্তৃপক্ষ ঘাটের মহেশখালী অংশেও একটি পন্টুন বসানোর ব্যবস্থা করেছিলেন।

দীর্ঘ আইনি জটিলতার পর ২০২৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট বিআইডব্লিউটিএকে ঘাট বুঝিয়ে দেওয়ার আদেশ দেয় । এরইমধ্যে দুয়েক বছর পূর্বের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জুলাই মহেশখালী জেটিঘাটে একটি পন্টুন নিয়ে আসে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এই পন্টুন মহেশখালী ঘাটে ভিড়ানো হলে মহেশখালী পৌরসভার স্টাফ পরিচয়ে লোকজন সেটি মাঝ সাগরে ভাসিয়ে দেয়। এতে এ সময় সাংবাদিকদের লিখালিখিতে সমালোচনার মুখে পড়েন পৌরসভার মেয়র মকছুদ মিয়া। বহু আলোচনা সমালোচনার পর পন্টুনটি এই ঘাটে বসাতে না পেরে নিয়ে যায় বিআইডব্লিউটিএ। এ দ্বীপের মানুষ আর সেই পন্টুন সেবার মুখ দেখেনি।

বর্তমানে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মহেশখালী ঘাটে পন্টুন বসানোর যোগ্য সময় বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। এ অবস্থায় এখানে স্থায়ী ভাবে এই পন্টুন বসাতে আবারও জনসাধারণ জোর দাবি তুলেছে। সাধারণ মানুষজনের সাথে কথা বলে এমন অভিমতই পাওয়া গেছে। তাছাড়া মহেশখালী ঘাটের সকল অনিয়ম দূর করাসহ পন্টুন বসানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে।

প্রশাসনের যথাযথ কর্তৃপক্ষ এই জনদাবি বিবেচনায় মহেশখালী ঘাটে দ্রুত পন্টুনটি ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিবেন এমনটি আশা করছেন মহেশখালীর সচেতন সমাজ।