Advertisement


আন্দোলনে নিহত মহেশখালীর তানভীরের বাড়ি পরিদর্শন করলেন জেলা-উপজেলার কর্মকর্তারা

নিহতের পরিবারে আর্থিক সহায়তা প্রদান


বিশেষ সংবাদদাতা।। কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত মহেশখালী সন্তান চট্টগ্রাম আশেকানে ডিগ্রী কলেজের মেধাবী ছাত্র তানভির ছিদ্দিকীর বাড়ি পরিদর্শন করেছে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারসহ কর্মকর্তারা। এ সময় নিহত তানভীরের পরিবারে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত তানভীরের পরিবারের সঙ্গে মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছড়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ শাহ ঘোনা গ্রামে নবর্নিমিত বাড়িতে সাক্ষাৎ করতে যান কক্সবাজার জেলা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহীন ইমরান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান। এ সময় তারা পরিবারের সদস্যদের সাথে আলাপ করে বিভিন্ন খোঁজখবর নেন। পরিবারের সদস্যদের কথা শোনে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদ তানভীর ছিদ্দিকীর পিতা কৃষক বাদশাহ মিয়াকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহীন ইমরান বলেন- ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহত ছাত্র-জনতার পাশে থাকতে জেলা প্রশাসন সচেষ্ট। জেলা প্রশাসক আরো বলেন- ‘শুধুমাত্র আর্থিক সহায়তা নয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ও নিহত ছাত্রজনতার পরিবারের পাশে দীর্ঘমেয়াদে থাকতে আমরা বদ্ধপরিকর।'
 
কক্সবাজারের জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন- তানভীর ছিদ্দিকীর নবনির্মিত বাড়ির সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে আমাদের পুলিশ-নৌ বাহিনীর কর্মকর্তাদেরকে নিয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে, তারা নজর দারি রাখবে। এছাড়া ঐতিবাহি খউস্বর পরিবারের সন্তান তানভীর ছিদ্দিকীর পরিবারসহ স্বজনদের নতুন ঘর বাঁধতে কোন সমস্যা হলে প্রশাসনের সহযোগিতা থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তারা প্রসস্ত বাড়িভেটে এলাকা পরির্দশন করেন।

এ সময় অন্যদের মাঝে উপস্থিত  ছিলেন- মহেশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, মহেশখালী উপজেলা নিবার্হী অফিসার মীকি মারমা, মহেশখালীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাছবীর হোসাইন, থানার পরিদর্শক (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী, পরিদর্শক (তদন্ত) তাজ উদ্দিন, কক্সবাজার উপকূলীয় সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হোবাইব সজীব প্রমূখ। এ সময নৌবাহিনীর টহল টিমের সাথে পেটি অফিসার আব্দু রহমান নাজিরসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিহত তানভীর ছিদ্দিকীর পরিবারের সদস্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন তার চাচা গিয়াস উদ্দিন মাতাব্বর, নাজমুল হোসাইন ছিদ্দিকী, ভাই মোহাম্মদ আলীসহ স্বজনরা।

এ সময় নিহত তানভীরের পরিবারের সদস্যরা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বলেন- ২০১১ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই মহেশখালীর কালারমার ছড়ায় ব্যাপক লুটতরাজ ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত জনগোষ্ঠী লোকজন। এলাকার ঐতিবাহি খউস্বরো গোষ্ঠী তথা কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত তরভীরের পরিবারসহ প্রায় শতাধিক ঘরবাড়িতে আগুন দিয়ে এলাকা ছাড়া করা হয়। হয়রানি করা হয় হামলা মামলার মাধ্যমে। দীর্ঘ ১৫ বছর পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা শাখার সমন্বয়কদের নিয়ে আপন বাড়িতে ফিরেছে শহীদ তানভির ছিদ্দিকের পরিবার। এ অবস্থায় তারা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।