নিজস্ব প্রতিবেদক।। কক্সবাজারের মহেশখালীতে বিএনপি নেতা হত্যা মামলায় দলীয় কোন্দলকে পূঁজি করে ষড়যন্ত্র মূলকভাবে আসামী করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট ২০২৪ তারিখ দুপুর ১২.৩০ টার দিকে মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী, সাত শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
গত ৫ আগস্ট রাতে দূর্বৃত্তরা উপজেলা বিএনপি নেতা শফিউল আলম শফিকে হামলা করে। আহত শফি ১৩ আগস্ট চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করে। শফি হত্যার মামলায় পৌর আওয়ামিলীগ সভাপতি ও সাবেক মেয়র মকছুদ মিয়ার পরামর্শে তার বড় ভাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর ও মকছুদ মিয়ার ছোট ভাই আতা উল্লাহ বোখারীর ইন্ধনে ষড়যন্ত্র মূলকভাবে সাবেক ২ বারের এমপি আলমগীর ফরিদকে প্রধান আসামী করে। উল্লেখ্য, মৃত শফিউল আলম শফি আবু বক্করের অনুসারী।
কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ও সাবেক এমপিকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করায় আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহর হাতেগড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলমগীর ফরিদ টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ, মহেশখালী আইল্যান্ড হাই স্কুল, বড় মহেশখালী মহিলা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারীরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
এতে সংক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে দাড়িয়ে মানববন্ধন করে প্রতিবাদ জানায়। তাদের সাথে যোগ দেয় সাধারণ মানুষও।
মানববন্ধন শেষে প্রতিবাদ সভায় মহেশখালী আইল্যান্ড হাই স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক কবি খালেদ মাহাবুব মোর্শেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, আলমগীর ফরিদ টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, প্রভাষক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন, মহেশখালী আইল্যান্ডল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আজিজুল করিম, সিনিয়র শিক্ষক গফুর আলম, শিক্ষার্থী সরওয়ার উদ্দীন সৌরভ, বড় মহেশখালী মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মৌলানা মো: কামাল, আলমগীর ফরিদ টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী রোহান।
বক্তারা বলেন- "আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনা করেন। তিনি একজন সফল রাজনৈতিক ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি। মহেশখালী আনাচেকানাচে তাঁর হাতে গড়া উন্নয়নের ফলে মহেশখালী জনপদে তিনি সবার নিকট জনপ্রিয় একজন মানুষ। রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়াও তিনি একজন মহান শিক্ষক। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও পরিচালনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সব সময় উপজেলার শীর্ষে অবস্থান করে, ভালো ফলাফল করে। কিন্তু তাঁর হাতেগড়া বিএনপি কর্মী শফিউল আলম শফি হত্যা মামলায় তাঁকে ষড়যন্ত্র মূলকভাবে মামলার আসামি করা হয়েছে। তাঁকে আসামি করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দলীয় অন্তরীণ কোন্দকে পূঁজি করে, আওয়ামিলীগের নীলনকশা বাস্তবায়নের জন্য দায়েরকৃত উক্ত ষড়যন্ত্র মূলক মামলা থেকে অনতিবিলম্বে আলমগীর ফরিদকে বাদ দেওয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তাছাড়া, স্কুল, কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী, দাতা সদস্যদেরও যারা ষড়যন্ত্র মূলক মামলায় ফাঁসিয়েছে তাদের প্রতি ধিক্কার, নিন্দা ও তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং মরহুম শফিউল আলম শফির মাগফেরাত কামনা করছি।"