Advertisement


ডাকাত সর্দার ও হত্যা মামলার আসামী মহেশখালীর মকসুদের জামিন নামঞ্জুর- কারাগারে


বার্তা পরিবেশক।।
মহেশখালী উপজেলার ফকিরাকাটা এলাকার গোলাম কুদ্দুস প্রকাশ দনুর পুত্র কুখ্যাত সন্ত্রাসী হত্যা সহ একাধিক মামলার আসামী ডাকাত দলের সর্দার মকসুদ মিয়ার (৩৯) জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেছেন বিজ্ঞ আদালত।


ডাকাত দলের সর্দার মকসুদ কক্সবাজার জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আব্দুল মজিদ মুন্সীর বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর মহেশখালী থানার ওসমান হত্যা মামলায় জামিন আবেদন করেন বলে সুত্র জানায়।

জানা যায়, গত ২০২৪ সালের ২১ এপ্রিল মো: ওসমান নানার বাড়িতে বেড়াতে যায়। একদল ডাকাত নানার বাড়ির লবনের মাঠ দখল করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে নানার বাড়ির সদস্যদের সাথে চিংড়ি ঘেরে যায় ওসমান। দিনদুপুরে এমন ডাকাতির করতে দেখায় প্রতিবাদ করেন ওসমান। উত্তোলনকৃত লবণ ডাকাতি করতে বাঁধা দেয়ায় কাল হয় এই নিরহ ছেলেটির। ডাকাত দলের সর্দার মকসুদের সাথে ওসমানের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মকসুদের বাহিনী আটকে ধরে মারধর করে ওসমানকে, মারতে মারতে এক পর্যায়ে কোমর থেকে অস্ত্র বের করে ওসমানের বুকে গুলি চালায় ডাকাত দলের সর্দার মকসুদ। এমনটাই অভিযোগ করেন বেশ কয়েকজন স্থানীয়।

সুত্র জানায়, ডাকাত সর্দার মকসুদ ওসমান হত্যা মামলার প্রধান আসামী আমান উল্লাহ আমান (৪৫) এর অনুসারী। আমান উল্লাহ আমানের নির্দেশেই মকসুদ ওসমানের বুকে গুলি চালায় বলে জানা যায়।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মকছুদ মিয়া ফকিরাকাটা এলাকার এক ভাড়াটিয়া খুনি এবং উক্ত এলাকার ত্রাস। সে টাকার বিনিময়ে অস্ত্রের মুখে গরীব দু:খী মানুষের লবনের মাঠ দখল, জমি দখল, মাছের ঘের দখল, ও ডাকাতি করাই যেন তার প্রকৃত পেশা বলেও জানা যায়।

তার বিরুদ্ধে হত্যা , লুটপাট, ডাকাতি, অস্ত্র মামলা, পরিবেশ ও বন বিভাগের অসংখ্য মামলা রয়েছে বলেও জানা যায়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় চট্টগ্রামে আজম নাসিরের অনুসারী হয়ে ছাত্রদের আন্দোলনে সরাসরি গুলি চালান এই মকসুদ।

স্থানীয় এক শিক্ষার্থী জানান, ‘এরকম সন্ত্রাসী ও খুনিরাই মহেশখালীর সুনাম ক্ষুন্ন করছেন। তাদের গ্রুপিং এবং ক্ষমতার শিকার হন সাধারণ চাষীরা। আমরা চাই মহেশখালীতে খুন হারামি বন্ধ হয়ে শান্তি ফিরে আসুক, আর এই হত্যাকান্ড গুলোর দৃষ্টান্ত বিচার হোক।’

এছাড়াও মকছুদ মিয়ার বিরুদ্ধে মানবপাচারেরও অভিযোগ উঠেছে। আছে মানব পাচার মামলাও। আওয়ামী লীগের শাসনামলে এই মকসুদ শ্রমিকলীগের পরিচয়ে থানায় দালালি করতো বলে জানা যায়।