Advertisement


মাতারবাড়ি ভূমি অফিসে ৩০ টাকার ভুমি উন্নয়ন করের রশিদ দিয়ে হাতিয়ে নেয় ৮০০ টাকা!


রকিয়ত উল্লাহ।।
৩০ টাকার ভূমি উন্নয়ন করের রশিদ দিয়ে ৮০০ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাতারবাড়ি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে।

গতকাল ২ অক্টোবর বুধবার সকালে মাতারবাড়ি ইউনিয়ন ভূমি অফিস ৮০০ টাকা  নিয়ে ৩০ টাকার রশিদ পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন ভুক্তভোগী বাবুল করিম। তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে মাতারবাড়ি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অনিয়ম দুর্নীতি ও গ্রাহক হয়রানির বিষয়ে এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে উক্ত ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করেন বলে জানা যায়। 

সূত্রে জানা যায়- মাতারবাড়ি ইউনিয়নের রাজঘাটের বাসিন্দা বাবুল করিম তার স্ত্রী ফেরদৌস ও পূত্র আতিকুর রহমানের নামে ৬ শতক জমি কিনে ৭১১৮ নং  নামজারি খতিয়ান করেন। পরে গত ৩০ সেপ্টেম্বরে মাতারবাড়ি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলে তার ভূমি উন্নয়ন কর-দাখিলা কাটতে গেলে ১০০০ টাকা দাবি করেন তহসিলদার অফিসের অস্থায়ী কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল মালেক। পরে তিনি ৮০০ টাকা নিয়ে ২অক্টোবর ৩০ টাকার ভূমি উন্নয়ন করের রশিদ দেন। এনিয়ে হইচই পড়ে সেবাপ্রার্থীদের।

তারা অভিযোগ করে বলেন- মাতারবাড়ি ইউনিয়ন ভুমি অফিসে টাকা ছাড়া কোন সেবা মিলে না। তহসিলদার থেকে শুরু করে কর্মচারী ও দালালেরা সিন্ডিকেট করে গ্রাহক থেকে খাজনা বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায়,নামজারি খতিয়ানের আবেদন,প্রতিবেদনসহ নানা কাজে ঘুস ছাড়া কোন কাজ করেনা। এছাড়াও বহিরাগত দালালের মাধ্যমে ভূমি অফিসের দরজা বন্ধ করে দুই নাম্বারি কাজ করার কথা বলেন। এমনকি দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দালালের বিরুদ্ধে মুখ খুললে সেবা পেতে আরও বোশি ভোগান্তি পেতে হয় বলে জানান।

ভুক্তভোগী বাবুল করিম জানান-আমার স্ত্রী ও সন্তানের নামে মাত্র ৬শতক জমি কিনেছি। তা খতিয়ান করার পর মাতারবাড়ি তহসিলদার অফিসে গেলে দায়িত্বরত কম্পিউটার ম্যান মালেক খাজনার জন্য ১০০০ টাকা দাবি করেন। তারপর অনেকটা অনুনয়-বিনয় করার পর ৮০০ টাকা দিয়ে খাজনা কেটে রশিদটা দেন। রশিদে দেওয়া আছে মাত্র ৩০ টাকা। দেশ দ্বিতীয় স্বাধীন হওয়ার পর ঘুষ বন্ধ হলেও মাতারবাড়ি তহসিলদার অফিসে ঘুষ,দুর্নীতি বন্ধ হয়নি।আমি এর সঠিক বিচার দাবি করছি।

অভিযুক্ত মাতারবাড়ি তহসিলদার অফিসের অস্থায়ী কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল মালেকের সাথে যোগাযোগ করা হলো তিনি ৮০০ টাকা নেওয়ার কথাটি স্বীকার করে নতুন খতিয়ান তামিল করতে টাকা নেওয়ার নিয়ম আছে বলে জানান এবং তা তামিল বাবদ ৩০ সরকারি ফি কত জানতে চাইলে তিনি খুশি হয়ে যা দেন তা নেন বলে জানান। পরে তিনি প্রতিবেদককে ঘুষ নেওয়ার কথা স্বীকার করে ভুক্তভোগীকে টাকা ফেরত দিবে বলে জানান। 

মাতারবাড়ি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের  তহসিলদার চন্দন কুমারের মুঠোফোনে সংযোগ না দেওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে নবাগত মহেশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) দীপক ত্রিপুরা জানান- আমি সবেমাত্র জয়েন করেছি। তারপরও অভিযোগের বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।