Advertisement


মাতারবাড়ি বন্দর চ্যানেলে দস্যুতার শিকার সিলেট থেকে আসা বার্জ


রকিয়ত উল্লাহ।। বঙ্গোপসাগরে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর চ্যানেলে এম.ভি. মালেক-৩ নামে সিলেট থেকে পাথুরে বালি নিয়ে আসা একটি বার্জ দস্যুতার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দস্যুরা বার্জে থাকা লোকদের মারধোর করে বেঁধে রেখে মোবাইল ফোন, জ্বলানী তেল, ব্যাটারি, ক্যাবলসহ মূল্যমান মালামাল লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগে প্রকাশ। গত ১৪ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মাতারবাড়ি বান্দর চ্যানেলের সরাইতলীর দক্ষিণ পাশে এ ঘটনা ঘটে।

সূত্রে জানা যায়- মহেশখালী কালারমার ছড়া-মাতারবাড়ির সড়ক উন্নয়ন কাজে মীর আক্তার কোম্পানির জন্য স্থানীয় উপ-ঠিকাদার মোস্তফা কামাল সিলেট থেকে সিলেটের পাথুরে বালি ভর্তি একটি বার্জ নিয়ে আসেন মাতারবাড়ি বন্দর চ্যানেলে। গত ১৪ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১ টায় মাতারবাড়ি বন্দর চ্যানেলের ধলঘাটের সরাইতলীর দক্ষিণ পাশে নোঙর করে বার্জটি। নোঙর করার কিছুক্ষণ পরই বার্জটি জলদস্যুদের কবলে পড়ে। এ সময় ২০-২২ জনের একদল জলদস্যু দুইটি ট্রালারে করে নোঙর করা বার্জের কাছে পৌঁছায় এবং বার্জে থাকা লোকদেরকে এক ধরণের জিম্মি ও মারধোর করে। এ সসয় তাদের বেঁধে রেখে মোবাইল ফোনসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে কোস্ট গার্ডের একটি টিম এসে বার্জে থাকা লোকদেরকে উদ্ধার করে বলে জানা যায়।

ভুক্তভোগী উপ-ঠিকাদার মোস্তফা কামাল জানান- "আমি মীর আক্তার কোম্পানির সড়ক উন্নয়নের জন্য সাব-ঠিকাদার হিসাবে সিলেট থেকে মেসার্স আর.আর.এম ইন্টারপ্রাইজের মালিকানাধীন এম.ভি মালেক-৩ নামের একটি বলগেটের মাধ্যমে সিলেট পাথুরে বালি এনে তা মাতারবাড়ি বন্দর চ্যানেলে নোঙরের ব্যবস্থা করি। পরে এখানেই বার্জটি জলদস্যুর কবলে পড়ে। এ সময় জলদস্যুরা বার্জে থাকা ৭জন কর্মচারীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মারধোর করে প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। আহতদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। "

তিনি আরও বলেন- " প্রাথমিক ভাবে মাতারবাড়ির সাইরার ডেইল এলাকার শহীদ, বাদশা, মোস্তাক, জনৈক বাড়ুর ছেলে ও হামিদ নামে কয়েকজনের নাম জানতে পেরেছি। আমি বিষয়টি কোস্ট গার্ড ও মাতারবাড়ি পুলিশ ক্যাম্পের আইসিকে জানিয়েছি এবং মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। "

এদিকে কোস্ট গার্ড এর একটি সূত্রও ঘটনা এবং তাদের অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মাতারবাড়ি পুলিশ ক্যাম্পের আইসি উপ-পরিদর্শক রাজীব চৌধুরী জানান- এক ব্যক্তির মৌখিক ভাবে অবগত সূত্রে বিষয়টি তারা জেনেছেন, এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।