বার্তা পরিবেশক।। কক্সবাজার শহরের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সামনে কটেজ জোনে আওয়ামীলীগ বিএনপি মিলে দুবাই প্রবাসি অসহায় আবু বকরের বাড়িঘর দখল করার অভিযোগ উঠেছে। এসময় তারা হামলা চালিয়ে বেদড়ক মারধর, বসতবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। এতে নারী শিশু সহ প্রায় ৭/৮ জন আহত হন। তাদের মধ্যে পারভীন আক্তারের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানান চিকিৎসক। ১৩ নভেম্বর বুধবার রাত ৯ টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় আবু বকরের স্ত্রী আহত পারভিন বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
আহত পারভিন অভিযোগ করেন, কক্সবাজার পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রনি ও মোরশেদের নেতৃত্বে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে ক্রসফায়ার শুক্রুরসহ ২০/৩০ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ, পিস্তল, দেশী অস্ত্র, লাটি ও রামদা নিয়ে তাদের বাড়ির গেইটের তালা ভেংঙ্গে ঘরে ডুকে ঘরের মুল্যবান জিনিস পত্র ভাংচোর করে।
ভোক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্রফায়ার শুক্কুরের নেতৃত্বে লাইট হাউজের রনি, জহির, মোরশেদ, রোমালিয়ার ছড়ার এনাম, রকি, হোছাইন প্রকাশ বিলাই হোছাইন, আফছার কামাল, ছোট মহেশখালীর মোঃ হেলাল।
এছাড়াও চট্টগ্রাম নাছিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির বাসিন্দা মোহাম্মদ নবী, কানিজ ফাতেমা, সেতারা করিম, রেশমি কামাল মনি, ইনানী এলাকার আরেফা আক্তার, মঈন উদ্দিন মনিরসহ অজ্ঞাতনামা ২০/৩০ জনের সন্ত্রাসীরা তাদের উপর বর্বর হামলা চালিয়ে বাড়ির সব কিছু লুট করে, তাদের ৫০ বছরের ঘরবাড়ি জোর পূর্বক দখল করে নেয়। পরে জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করলেও সন্ত্রাসীর কবল থেকে ঘরবাড়ি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
কাগজপত্র পর্যালোচনা করে জানা যায়, কলাতলী লাইট হাউজ এলাকাস্থ শরণ বহুমুখী সমিতির প্লটভূক্ত জমি সমিতির সদস্য হিসাবে আমার আপন মামা কামাল হোছাইন প্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে কামাল হোছাইনের টাকার বিশেষ প্রয়োজন হওয়ায় ২০১২ সনে তিনশত টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত বিক্রি রশিদপত্র মূলে ত্রিশ লক্ষ টাকায় ঘর সহকারে উক্ত জায়গা আবুবক্করের স্ত্রীর কাছে বিক্রি করেন। তৎপরবর্তী হইতে তথায় একটি দোকান ও বসতগৃহ উপলক্ষ্যে ভোগ দখল করে আসছে অসহায় আবুবকর ও তার পরিবার পরিজন। খরিদ করার পর থেকে দীর্ঘ ১২ বছর শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখলক্রমে বসবাস করিয়া আসলেও সম্প্রতি উপরোক্ত আসামীগণ পরস্পর যোগসাজসক্রমে দূর্লোভের বশবর্তী হইয়া আমাকে উক্ত জায়গা হইতে জোরপূর্বক উৎখাত করার নিমিত্তে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি প্রদর্শন করিয়া আসিতেছিল।
অভিযোক্ত শুক্রুর জানান, সে সরাসরি কোন দখলে জড়িত নয়, তবে এই ঘটনায় তাদের কাছে বিচার দেওয়া আছে বলে নিশ্চিত করেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ফয়েজুল আজিম নোমান জানান, এই ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।