Advertisement


ফেসবুক গ্রুপে পরিচয়: মহেশখালীর ফয়সালের প্রতারণার শিকার হয়ে নিঃস্ব দিনাজপুরের নারী


শেখ আব্দুল্লাহ।। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেয়ে বন্ধুদের  টার্গেট করে শিক্ষার্থীদের এসএসসি ৯৯ ব্যচের একটি ফেসবুক গ্রুফে বন্ধুর্থের সম্পর্ক জড়িয়ে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা ও স্বর্ণ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছড়া ইউনিয়নের নোনাছড়ি এলাকার ফকিরাঘোনার মৃত নুরুল আলমে পূত্র মাহি উদ্দিন ফয়সালের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে- তার এমন প্রতারণার শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে অনেকেই।

দিনাজপুরের রোকসানা আক্তার স্মৃতি নামে এক নারী তার প্রতারণার শিকার হয়ে ৮ নভেম্বর (শুক্রবার) কালারমার ছড়ার নোনাছড়ি ফকিরাঘোনা মাহি উদ্দিন ফয়সালের খোঁজে তার গ্রামের বাড়িতে আশ্রয় নেন। তার আসার খবর পেয়ে প্রতারক ফয়সাল পালিয়ে থেকে মুঠোফোন বন্ধ করে রেখেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।  

ভুক্তভোগী নারী কালারমার ছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু আহমেদের কাছে এর প্রতিকার চাইতে গেলে- তিনি থানায় প্রতারক ফয়সালের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন বলে জানা যায়।

স্থানীয় এক সচেতন বাসিন্দা বলেন- স্মৃতি নামের এক মেয়ে সুদূর দিনাজপুর থেকে ফয়সালের খোঁজে এসেছে। আপনারা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করুন।  

বিষয়টি নিয়ে জানতে ভুক্তভোগী রোকসানা আক্তার স্মৃতির সাথে কথা হয়। তিনি বলেন- আমার বাড়ি দিনাজপুর। আমার সাথে বন্ধুদের একটি ম্যাসেজ গ্রুপে ফয়সাল উদ্দিন মাহির সাথে দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে পরিচয়। সে সুযোগে আমরা চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রোগ্রাম করে থাকি। ফয়সাল বিপদে পড়ে অসহায় দেখিয়ে আমার থেকে ৬ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা নিয়েছে। সে টাকা এখনো ফেরত দেয়নি। আমি তার গ্রামের বাড়িতে আসি। সে আমার আসার খবর পেয়ে পালিয়ে যায়। আমি স্থানীয় ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান আবু আহমদকে বিষয়টি অবগত করি এবং আমি মহেশখালী থানায় অভিযোগ দিতে এসেছি। আমি প্রতারণার শিকার হয়েছি আমি এর প্রতিকার চাই।

অভিযুক্ত ফয়সাল উদ্দিন মাহির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোনে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।  

মহেশখালী থানার ওসি কাইছার হামিদ জানান- দিনাজপুরের এক মেয়ে ফয়সাল উদ্দিন মাহি নামে এক ব্যক্তির প্রতারণার শিকার হয়ে মহেশখালী থানায় অভিযোগ দিতে এসেছিল। বিষয়টি শুনে মেয়েটিকে তথ্য প্রমাণ নিয়ে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।