এ অবস্থায় শোকাহত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে, ফয়সাল যে সহায়তা ও সান্ত্বনার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, তা অসংখ্য হৃদয়কে ছুঁয়েছে। প্রতিবন্ধী হলেও পারিবারের হাল ধরতে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কিশোর আরাফাত কখনও দিন মজুর, কখনওবা মাছ ধরার নৌকার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তার যোগান দেওয়া টাকায়ই অনেকটা চলতো দরিদ্র পরিবারটি।
জানা গেছে- আরাফাতের পরিবারের জন্য একটি নতুন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, এবং এর রক্ষণাবেক্ষণ খরচ, এবং তার ছোট ভাইয়ের শিক্ষার সব খরচের দায়িত্ব নিয়েছেন ফয়সাল আমিন। এছাড়াও আরাফাতের দুই বিবাহযোগ্য বোনের বিয়ে সংক্রান্ত সম্পূর্ণ ব্যবস্থা ও খরচ তিনি করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান- ফয়সালের এই উদ্যোগ পরিবারটির মধ্যে নতুন করে আশার আলো নিয়ে এসেছে। সম্প্রতি তিনি ওই পরিবারটির সদস্যদের সাথে দেখা করেন এবং তাদের সন্তানা দিয়ে পাশে দাঁড়ান। তার সহানুভূতির হাত এখানেই থেমে থাকেনি- তিনি ওই এলাকার আরও ৫-৬ জন অসুস্থ মানুষকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন। পাশাপাশি এলাকার একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতা এবং নিয়মিত তদারকির প্রতিশ্রুতি দেন।
এলাকাবাসী ফয়সাল আমিনের এই মানবিক উদ্যোগকে গভীর কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছে। তাঁর এই কার্যক্রম মহেশখালীর উন্নয়নে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে বলে মনে করেন তারা। সমাজের জন্য এটি একটি প্রেরণাদায়ক উদাহরণ- যা আরও অনেককেই মানবিক এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করবে বলে মনে করেন এলাকাবাসী।