সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে কারাবন্ধি যুবদল ও ছাত্রদলের নেতারা কক্সবাজার কারাগার থেকে মুক্তি পায়। এ খবর জানাজানি হলে নেতাকর্মীরা মহেশখালী ঘাট ও জেটি এলাকায় জমায়েত হতে থাকেন। বিকেল ৩ টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া মহেশখালী উপজেলা যুদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মাস্টার আনচার উল্লাহ, যুবদল নেতা ইমতিয়াজ হাসান ও মহেশখালী উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক তারেক রহমান জুয়েল মহেশখালী ঘাটে এসে পৌঁছেন। এ সময় মহেশখালী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক জাহেদুল হক নাহিদের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা তাদের বরণ করে নিয়ে দীর্ঘ ৪ কিলোমিটার পথ মিছিলসহকারে গিয়ে বড় মহেশখালীতে এক সমাবেশে মিলিত হন। মিছিলের কারণে প্রধান সড়কে ঘণ্টাব্যাপী যান চলাচল ব্যহত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক জাহেদুল হক নাহিদ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক জিয়াউর রহমান ডালিম, যুবদল নেতা আসাদুল্লাহ হেলালী ও কারামুক্তগণসহ অনেকেই।
সমাবেশে বলা হয়- ৫ আগস্ট দেশ নতুন ভাবে স্বাধীন ও ফ্যাসিবাদ মুক্ত হওয়ার পর ওই দিনই পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয় উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক শফিউল আলম শফিকে। নিহত শফিউলের পিতা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার সুবাদে মহেশখালী পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক মেয়র মকছুদ মিয়াকে বাঁচাতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও কৃষকদল নেতাকর্মীদের এই মামলায় আসামি করা হয়।
সমাবেশ থেকে মরহুম শফিউল আলম শফির আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয় এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়। ষড়যন্ত্রমূলক এই মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
প্রসঙ্গতঃ মহেশখালীতে বিএনপির রাজনীতি দুইটি গ্রুপে বিভক্ত, একটি গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন বিএনপি নেতা রুহুল কাদের বাবুল। অপর গ্রুপে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মহেশখালী পৌরসভার সদ্যসাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মকসুদ মিয়ার বড় ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুবকর ছিদ্দিক।
নিহত শফি আবুবকর ছিদ্দিক গ্রুপ এর বিএনপির কমিটির দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতেন, তার বাবা কামাল পাশা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থেকে মেয়রের ঘনিষ্ঠজন ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ অবস্থান থেকে দু'বারের সাবেক এমপি ও বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এ হত্যা মামলা করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
এদিকে প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- বড় মহেশখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি(ভারপ্রাপ্ত) সাজেদুল হক, বিএনপি নেতা রমিজ আলম, মৌলভী ফোরকান আহমদ, আহমদ উল্লাহ রায়হান, শফিউল আলম মেম্বার, আলী আকবর মেম্বার, উপজেলা যুবদল নেতা মোক্তার আহমদ, এম.আবুল কাশেম, মুহাম্মদ মাহফুজ, আব্দুল মতিন, মাশুকুল ইসলাম মাসুদ, ইয়াসিন আরাফাত, জহিরুল ইসলাম, নুরুন্নবী, আনচারুল করিম, নুরুল আলম শাওন, আবু ইউসুফ, পৌর কৃষকদলের আহ্বায়ক জাহেদুল আলম তৌফিক, উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ইমন চৌধুরী, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল আজিজ নয়ন পৌর পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব আলা উদ্দিন নাইম, মহেশখালী কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক একরামুল হক, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তায়েব ইলাহী, আ স ম সায়েম, আসমাউল হাসান, জাসাসের সভাপতি মিজবাহ উদ্দিনসহ প্রতিটি ইউনিয়ন যুবদল ছাত্রদলের সভাপতি-সা.সম্পাদকসহ বিএনপি যুবদল, ছাত্রদল ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।