ওইসব এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট বন বিভাগের কর্মীদের নিয়ে এ পাহাড় কাটার মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানিয়রা জানিয়েছেন।
স্থানিয়রা বলছেন, ভূমিদস্যুরা বন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে শুধু বনভূমিই নয় সরকারের সৃজিত বাগান, গাছপালা থেকে শুরু করে মাটি ও বালি লুট করে বিক্রি করে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। মহেশখালী ফরেস্ট রেঞ্জের আওতাধীন উপজেলার দিনেশপুর ও শাপলাপুর বন বিভাগের মালিকাধীন বনাঞ্চলের পাহাড় কেটে বনাঞ্চল নিধন করছে কতিপয় উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের ছাদেকের কাটা বাজারের ভিতরের পূর্বপাশে সড়ক হয়ে টাওয়ার এলাকার 'হাইসবর' ছেলে মাহমুদুল করিম ও কালাম
নামে দুই ব্যক্তি। অনেকে বলছেন বনকর্মকর্তা মনজুর মুর্শেদ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় সবুজ বনভূমি সাবাড় হচ্ছে। তাই দেখবে কে? রুখবে কে? এমন কথা স্থানিয়দের। অনেকে বলছেন পাহাড় কেটে মিলেমিশে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির অর্ধেক
পাহাড় কাটার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সড়ক সংস্কারের নামে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি ও দালান ঘর নিমার্ণ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, যারা পাহাড় কাটছে তারা সবাই প্রভাবশালী।
তাই এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার যেমন সাহস করেননি অনুরূপভাবে নাম প্রকাশেও তাঁরা অপারগতা প্রকাশ করেন। বিশেষ করে যারা পাহাড় কাটছে তাদের সাথে বন বিভাগের কতিপয় অসাধু ব্যক্তি জড়িত রয়েছে। যে কারণে তারা নির্ভয়ে সরকারি আইন আমান্য করে পাহাড় কেটে বনাঞ্চল উজাড় করছে।
অপরদিকে কোন কোন সময় দেখা গেছে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে পাহাড় কাটার সরঞ্জামাদি জব্দ করলেও তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। যে কারণে উৎসাহিত হয়ে পাহাড় কাটার সাহস পাচ্ছেন তারা।
দিনেশপুর বনবিট অফিসার মনজুর মুর্শেদ বলেন, এ পাহাড় কাটার ব্যাপারে আমার জানা নেই, তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেব। বনবিভাগের কর্মকর্তারা মাসোহারা নিয়ে পাহাড় কাটছে প্রভাবশালী এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন মিলেমিশে টাকা নেওয়ার প্রশ্ন উঠেনা।
মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ পাহাড় কাটা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ।