Advertisement


মহেশখালীর পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন


প্রেস বিজ্ঞপ্তি।। কক্সবাজারের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার দাবীতে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেছেন পরিবেশবাদী সংগঠন ইয়ুথ ফর ইকোলজি কনজারভেশন ও কক্সবাজার জনসুরক্ষা মঞ্চ।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় কক্সবাজার শহরের একটি অভিজাত হোটেলের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ইয়ুথ ফর ইকোলজি কনজারভেশনের টীম লিডার এস. এম. রুবেল জানান, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিধ্বংসী কাজ জ্যামিতিক হারে চলতে থাকায় বিশ্বের অন্যতম সমুদ্র নগরী কক্সবাজার প্রায় ধ্বংসের ধারপ্রান্তে দাড়িয়ে আছে। ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়া, ইসিএ আইনকে অমান্য করে ঝাউবাগান উজাড় ও সমুদ্র সৈকত দখল, প্লাস্টিকের অপরিকল্পিত ব্যবহারে নদী ও সমুদ্র দুষণ, বাঁকখালী ও কোহেলিয়া নদী দখল, পরিবেশ বিধ্বংসী প্রকল্প গ্রহণ, পাহাড় কাটা ও বন উজাড়, সমুদ্রে ময়লা-আবর্জনা ফেলা, প্যারাবন উজাড় করে ঘের নির্মাণ, বন্য প্রাণী আহরণ ও পাচারসহ নানান ধরণের পরিবেশ বিধ্বংসী কাজ চলমান আছে।

তিনি আরো বলেন, "মহেশখালী দ্বীপের ইসিএ এলাকার ১৫ হাজার একর প্যারাবন কেটে ঘের বানিয়েছে, পাহাড় ও বন কেটে জমি দখল করেছে। ১৪১৪ একর জমিতে পরিবেশ ধ্বংস করে বানানো মরণঘাতি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও ১৯১ একর পাহাড় কেটে বানানো এসপিএম প্রকল্প দ্রুত বন্ধ করতে হবে।"

কক্সবাজার জনসুরক্ষা মঞ্চের সভাপতি এডভোকেট সাকী জানিয়েছেন, কক্সবাজারের হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন স্থানে প্লাস্টিকের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে সমুদ্রের পরিবেশ দুষিত হচ্ছে। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় পূর্বের ন্যায় কাছিম ডিম দিতে আসে না। এ সংখ্যা প্রতি বছর কমছে। এছাড়াও সৈকতের ইসিএ এলাকায় আইন না মেনে ভবন নির্মাণ, জমি দখল, স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছে। প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে।

মহেশখালী জনসুরক্ষা মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মহসিন বলেন, মাতারবাড়িতে বন্দর স্থাপনের জন্য ৬০০ একর নতুন করে জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে। এসব জমির বেশির ভাগই ত্রিফশলা জমি এবং মানুষ বসবাস করছে। পরিবেশগত ঝুঁকি থাকলে এই প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এসময় বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।