Advertisement


মহেশখালীর ইউনুছখালী নাছির উদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয় উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নীত, উচ্ছ্বাসিত এলাকাবাসী


রকিয়ত উল্লাহ।। মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছড়ার স্বনামধন্য ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান "ইউনুছখালী নাছির উদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়" অবশেষে উচ্চ মাধ্যমিক পাঠদানের চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে।

গত ১১ নভেম্বর মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের পক্ষে চট্টগ্রাম মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রোফেসর মো. মোহাম্মদ জাহেদুল হকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে উক্ত বিদ্যালয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পাঠের অনুমোদন দেওয়া হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক, সচেতন মহলসহ সর্বস্তরের মানুষের মাঝে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে।

সূত্র জানা যায়- ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত  ইউনুছখালী নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়কে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ৩ বছরের জন্য বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় পাঠদানের প্রাথমিক অনুমতি প্রদান করা হয় এবং ২০২৭ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথমবারের মত অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হয় বলে জানা যায়।

বিদ্যালয়টি কালারমার ছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কুদ্দুস চৌধুরীর দাদা তৎকালীন জমিদার ও শিক্ষানুরাগী হাজী বকসু মিয়া ১৯৫৫ সালে তার ছেলে নাছির উদ্দীনের নামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরে সুদক্ষ ২১শিক্ষক-কর্মচারীর মাধ্যমে পাঠদান ও বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছিল। বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৬ষ্ট থেকে ১০শ্রেণী পর্যন্ত ৭৫২জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। তার মধ্যে ১১০জন ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী রয়েছে। তারা কৃতকার্য হলে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে উক্ত বিদ্যালয়ে পাঠ গ্রহণের সুযোগ পাবে বলে জানা যায়। 

ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরি এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন- "আমার বাবা আলহাজ গোলাম কুদ্দুস চৌধুরীর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে অবহেলিত জনপদ মহেশখালী উত্তর শিক্ষা-দীক্ষায় উচ্চ মাধ্যমিকে পাঠদানের অনুমোদন পাওয়ায় বিদ্যালয়টি আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।"

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নুরুল কাদের সিদ্দিকী বলেন- বিদ্যালয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে অনুমোদন পাওয়ায় আমাদের সকলের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেছে। এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় এগিয়ে নিতে ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, এলাকাবাসী, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।