Advertisement


অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দিয়ে মাতারবাড়ি-কালারমার ছড়া সংলগ্ন পেকুয়ার লম্বাঘোনা প্রজেক্ট দখল নিয়ে ভাগবাটোয়ারার পাঁয়তারার অভিযোগ


বার্তা পরিবেশক।। কক্সবাজারের পেকুয়ার করিয়াদিয়া মৌজার মহেশখালীর কালারমার ছড়া-মাতারবাড়ি সংলগ্ন লম্বা ঘোনা নামক চিংড়ী প্রজেক্ট দখল নিতে বদরখালী, মাতারবাড়ি ও কালারমার ছড়ার ভূমিদস্যুরা সিন্ডিকেট করে বিএনপির নাম দিয়ে দফায় দফায় চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে আত্মসমর্পণকৃত জলদস্যুদের নিয়ে মহড়া চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভূমিদস্য চক্রটি ইতোমধ্যে বিএনপির এক নেতার নাম ব্যবহার করে তার নিকটতম এক আত্মীয়ের নির্দেশে বদরখালীর বিএনপি নেতা ভুট্টো মেম্বার, মোহাম্মদ আলী, আলী আকবর, সামশু, জহিরসহ ৩০-৪০ জনের একটি চক্র পুলিশকে সাথে নিয়ে কয়েকজন অস্ত্রধারী ও বহু মামলার আসামি নিয়ে দখল নিতে কয়েকদফা মহড়া চালিয়েছে বলে জানা গেছে।  


সূত্রের অভিযোগ -৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিএনপির কয়েকজন নেতা সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন স্থানে চিংড়ী ঘের দখল করে নিয়েছে। লম্বাঘোনাও দখল নিতে সিন্ডিকেট করে পেকুয়া, বদরখালী, মাতারবাড়ি ও কালারমার ছড়ার কয়েকজন নেতা ভাগবাটোয়ারার অংশ হিসেবে পেকুয়ায় ৪আনা, বদরখালী ৬ আনা, কালারমার ছাড়া ও মাতারবাড়িকে ৬ আনা করে মোটা ১৬ আনা হিসাবে ভাগবাটোয়ারা করে। তাছাড়া পেকুয়া, চকরিয়া ও মহেশখালী থানাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যয় বহন করার জন্য ২০ লাখ টাকার একটি ফান্ড সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।  

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান- তারা বিএনপি পরিবারের সন্তান। তাদের পিতা মৃত হাজি ছমির জালাল ওয়ার্ড বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও আমৃত্যু সভাপতি ছিলেন। তাদের এক ভাই আনিসুল ইসলাম ছোটন কালারমার ছড়া ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক, আরেক ভাই বোরহান উদ্দিন কালারমার ছড়া ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ও আরেক ভাই নজরুল ইসলাম বকুল উপজেলা শ্রমিকদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। তাদের প্রায় ৩৫০ পরিবারের মধ্যে ৯৮ভাগ পরিবারই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। অথচ একটি ভূমিদস্য চক্র বিএনপির নাম দিয়ে তাদের চিংড়ী ঘেরটি দখল নিতে বারবার হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগে প্রকাশ। তারা হয়রানী থেকে বাঁচতে বিষয়টি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদসহ দলের হাইকমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

লম্বা ঘোনার মালিক পক্ষের মো. আজিজ রহিম বলেন- তারা চিংড়ী প্রজেক্টটি পরিচালনা করার জন্য কালারমার ছড়ার উত্তর নলবিলার আনিসুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম ও বোরহান উদ্দিনকে দায়িত্ব দিয়েছেন। কিন্তু গত মাস থেকে পেকুয়া, বদরখালী, কালারমার ছড়া ও মাতারবাড়ির কিছু  লোক বিএনপির নাম দিয়ে চাঁদা দাবি ও চিংড়ী ঘেরটি দখল নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের আওতায়  আত্মসমর্পণ করা জলদস্যু গিয়াস উদ্দিনসহ এনাম বাহিনীর প্রধান এনাম, শাহাব উদ্দিন, আমির উদ্দিন, তাওসিনসহ ২০-৩০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল মহড়া চালিয়ে হুমকি দিয়ে আসছে।

লম্বাঘোনার পরিচালক নজরুল ইসলাম বকুল বলেন- আমরা বৈধ ভাবে চিংড়িঘেরটি পরিচালনা করে আসতেছি। একটি চক্র চাঁদা দাবি করলে আমরা চকরিয়া আদালতে একটি মামলা করেছি  এবং কেউ যদি বৈধ মালিক হলে তাদেরকে কাগজ পত্র নিয়ে বসতে বলা হয়েছিল এবং বেশ কয়েকবার কয়েকজনের সাথেও বসেছি। কিন্তু একটি ভূমিদূস্যু চক্র বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে তার নিকটতম আত্মীয়র নির্দেশে কয়েকজন বিএনপি কর্মী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ডজেনখানেক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী নিয়ে বারবার মহড়া দিচ্ছে। আমরা এ নিয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

এ বিষয়ে মহেশখালী থানার ওসি কাইছার হামিদ জানান- উক্ত চিংড়ী প্রজেক্ট নিয়ে কেউ আইনশৃঙ্খলা  পরিস্থতি অবনতি করার চেষ্টা করলে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।