Advertisement


রামুতে রাতের অন্ধকারে সন্ত্রাসী কায়দায় প্রবাসী শামসুল আলমের জমি জবরদখল ও মাটি ভরাটের অভিযোগ


বার্তা পরিবেশক ।।
রামুর ফতেখাঁরকুল এলাকায় রাতের অন্ধকারে সশস্ত্র সন্ত্রাসী মহড়ায় প্রবাসী শামসুল আলমের মালিকানাধীন জমি জবরদখল করে মাটি ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে। জবরদখলকারীরা বাঁকখালী খালের অবৈধ বালি দিয়ে এ জমি ভরাট করছে। রামুর ফতেখাঁরকুল মৌজার অর্ন্তগত রামু কলেজের পূর্বে ও ভোকেশনাল কলেজের উত্তর-পশ্চিম পাশে এ জমি। রাতে ভরাট কার্যক্রম চলাকালে প্রতিকার চেয়ে ৯৯৯ ফোন করেও কোনো সহযোগীতা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগে প্রকাশ।


জানা যায়- গত দু‘হাজার এগারো সালে রামুর চাকমারকুল এলাকার বাসিন্দা প্রবাসী শামসুল আলম তেপান্ন শতক জমি কেনেন জোয়ারিয়নালা এলাকার আয়েশা বেগম ও তার স্বামী মোহাম্মদ ইদ্রিস এর কাছ থেকে। সে সময় টাকা পরিশোধের শর্তে জমির অংশিদার হিসেবে জহিরুল হক ও মোক্তার আহমদ এর নাম দেন। পরে জহিরুল হক জমি কেনা বাবদ টাকা পরিশোধ করলেও মোক্তার আহমদ আর টাকা পরিশোধ করেননাই। ক্রেতা শামসুল আলম বার বার তাগিদ দেওয়ার পরও মোক্তার আহমদ জমি কেনার টাকা পরিশোধ করেনি। তিনি জমি কেনার টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ক্রেতা শামসুল আলমের কাছে ফেরত দিবেন মর্মে লিখিত অঙ্গিকার করেন। এরইমধ্যে তাদের ভেতর সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়, এক পর্যায়ে মোকতার আহমদ ছলচাতুরির মাধ্যমে নীরবে জনৈক সরওয়ারের নামের এক ব্যক্তির কাছে এ জমির বিষয়ে পাওয়া অব এর্টনি সম্পাদনা করেন। এক পর্যায়ে সরওয়ার এ জমি তারা ভাই আবছারকে হস্তান্তর করেন। পরে আবছার স্থানীয় প্রভাবশালী জনৈক আবুবক্করের স্ত্রীর কাছে পাওয়া অব এর্টনি দেন বলে জানা যায়। আবুবক্কর স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় কিছুটা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এ জমি দখলে নেওয়ার তৎপরতা শুরু করেন। তারই অংশ হিসেবে রাতের অন্ধকারে এই মাটি ভরাট করার কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে সূত্রের অভিযোগ। খবর পেয়ে জমির মালিক প্রবাসী শমসুল আলম বাঁধা দেন। পরে স্থানীয় উদ্যেগে একটি বৈঠকের আয়োজন হয় এবং গতকাল সন্ধ্যায় রামুর বাইপাস সিটি পার্ক এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে বৈঠক হয়। এ বৈঠকে সমঝোতার ভিত্তিতে আজ সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে অধিকতর আলোচনা ও সিদ্ধান্তের জন্য কক্সবাজার সদরের আইনজীবী ভবনে বৈঠক করার কথা হয়। কিন্তু বৈঠকের কথা হলেও এক ধরণের প্রহসনের আশ্রয় নিয়ে অদৃশ্য শক্তির ইশারায় রাত নামতেই বিরোধপূর্ণ এ জমি দখল করে মাটি ভরাটের কার্যক্রম শুরু করে বলে অভিযোগে প্রকাশ। সূত্র জানিয়েছে- তাড়িঘড়ি করে এ জমি দখলে নিতে অন্তত: ৮-১০টি ডাম্পট্রাক যোগে মাটি এনে এ জমি দখলযজ্ঞ চলছে বলে সূত্রের অভিযোগ। অভিযোগ রয়েছে- এ অবৈধ দখল ও ভরাট কার্যক্রমে সহযোগী হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন- স্থানীয় প্রভাবশালী চক্রের সদস্য ফোরকান উল্লাহ, শাহজাহান কোম্পানী, কামাল মেম্বার, জালাল উদ্দিন রনী ও আতিক।


এ ব্যাপারে রাষ্ট্রীয় সেবা নম্বর থ্রিফল নাইনে ফোন করে প্রতিকার চাওয়ার পরেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে ভুক্তিভোগী প্রবাসী শামসুল আলম জানান। তিনি এ নিয়ে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।