সভার বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়- ঢাকায় বসবাসরত মহেশখালীবাসীদের মধ্যে সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা, পরিচিত হওয়া, পরস্পরের সুখ-দুঃখের অংশীদার হওয়া, ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্য সৃষ্টি করা এবং মহেশখালীর মানুষের সার্বিক কল্যাণ সাধনের লক্ষ্য নিয়ে ২০১২ সালে মহেশখালী সমিতি-ঢাকা যাত্রা শুরু করে। আজ মহেশখালী সমিতি ঢাকা প্রতিষ্ঠার এক যুগ পূর্ণ করেছে।
সমিতি প্রতিষ্ঠার পর থেকে জীবন সদস্য ও তাদের পরিবার, ঢাকায় বসবাসরত মহেশখালীবাসী ও ঢাকায় অধ্যায়নরত মহেশখালীর ছাত্রদের অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে মিলনমেলা, মেজবান, পিকনিক, ইফতার ও দোয়া মাহফিল, ২৯ এপ্রিল, ১৯৯১ স্মরণ ও দোয়া মাহফিল এবং জাতীয় দিবসগুলো পালন করে সমিতি তার কার্যক্রম ও সক্রিয় পদচারণা অব্যাহত রেখেছে।
মহেশখালী সমিতি বিভিন্ন সময়ে মহেশখালীর সমাজিক ও মানবিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মহেশখালী অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।
মহেশখালী সমিতি বিভিন্ন দূর্ঘটনা সহ ঢাকায় চিকিৎসা নিতে আসা অসহায় ও দরিদ্র মানুষকে চিকিৎসার জন্য সহায়তা দিয়ে পাশে থাকার চেষ্টা করেছে। বর্তমান কমিটি ২০২৩ সালে ঘুর্নিঝড় হামুন পরবর্তী মহেশখালীতে নিহত পরিবার, ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থদের এবং কয়েকটি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। মহেশখালী সমিতি-ঢাকা সদস্যবৃন্দ ও শুভানুধ্যায়ী ও শুভাকাঙ্খীদের সহযোগীতায় উল্লেখিত সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে মহেশখালীর জনগণের প্রতি তার অঙ্গীকার পূরণ করবার চেষ্টা করেছে। মহেশখালীর জনগণের সর্বাঙ্গীন কল্যাণ সাধনে মহেশখালী সমিতি-ঢাকা'র সদস্যবৃন্দের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়।
সভা থেকে সমিতির সফল অগ্রযাত্রায় যারা নিরলসভাবে কাজ করেছেন, সুসময় ও দুঃসময়ে সমিতির পাশে ছিলেন তাদের প্রতি সমিতির বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানো হয়।
এদিকে সভা ও মিলন মেলায় সাবেক এমপি আলহাজ্ব আলমগীর মুহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ ও আলহাজ্ব এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদসহ সমিতির সদস্যগণ।
সভা থেকে সমিতির স্মারক ম্যাগাজিন নোঙর এর আনুষ্ঠানিক পাঠ উন্মোচন করা হয়। আজ নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে।