১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ মাইজপাড়ায় এঘটনা ঘটে। নিহত যুবক একই এলাকার ফরিদ আলমের পুত্র। এঘটনা কালা বাশি, সাইফুল, ফরিদ, ইবরাহীম, মুকসুদ, নুর, তারেকসহ আরও কয়েকজন জন আহত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহেশখালী থানার ওসি কাইছার হামিদ।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান- গতরাতে স্থানীয় শফি আলমের কিশোরী মেয়ে ও সিপাহী পাড়ার সাগর নামে এক যুবক রাতে অসামাজিক কার্যকলাপে সময় স্থানীয়রা দেখলে তাদেরকে ধৃত করে। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা মেয়ের চাচা ফরিদুর আলমের নেতৃত্বে মেয়ের পিতা শফি আলমকে মেয়ে-ছেলে গছিয়ে দিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ না করার জন্য অনুরোধ করে রাতে ১২টার দিকে চলে আসেন।
এঘটনা লোকেমুখে জানাজানি ও সম্মানহানি করার ক্রোধে শফি আলম ও তার ভাই নুরুল আলম মিলে সাগরের নেতৃত্বে সিপাহী পাড়া ও আর্দশ গ্রাম থেকে ২০-৩০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এনে ফরিদুল আলমের বাড়িতে হামলা চালায়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা নুরুনবীসহ এঘটনা কালা বাশি, সাইফুল, ফরিদ, ইবরাহীম, মুকসুদ, নুর, তারেকসহ আরও কয়েকজন মারাত্মক ভাবে জখম করে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা আহত নুরুনবীকে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল হোসেন জানান- শফি আলমের মেয়ে ও সিপাহি পাড়ার সাগর নামে এক যুবক প্রেমের সম্পর্কে রাতে দেখা করতে আসলে তাদেরকে স্থানীয়রা ধরে পেলে। এঘটনার জেরে মেয়ের পিতা-চাচা ও প্রেমিক যুবক মিলে ২০-৩০ সন্ত্রাসী এনে হামলা চালিয়েছে শুনেছি। এঘটনা নুরুনবী নামে এক জন নিহত ও আর কয়েকজন আহত হয়েছে শুনেছি।
মহেশখালী থানার ওসি কাইছার হামিদ বলেন- এঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ করে। ময়নাতদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এঘটনায় যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।