Advertisement


শাপলাপুরে একটি চক্রের বিরুদ্ধে ভরাট হওয়া পুকুর দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ


বার্তা পরিবেশক।। শত বছরের পুরোনো দৃষ্টিনন্দন একটি পুকুর কালের বিবর্তনে ভরাট হয়ে যায়। ভরাট হওয়া পুকুর জোরপূর্বক দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি ভূমিদস্যূ চক্র। মহেশখালী শাপলাপুরের ৭নং ওয়ার্ডের মুকবেকী বড়খোলা পাড়া এলাকায় ভূমিদস্যূ চক্রের সদস্য জনৈক কামাল মাঝিসহ তার চার ভাইয়ের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়রা জানান, বড়খোলা পাড়া এলাকায় প্রায় ৩০ কড়া জায়গায় একটি পুকুর রয়েছে। পুকুরটি স্থানীয় বসবাসরত ৫টি পরিবারের মালিকানাধীন। এ পুকুরের একপাশে শাপলাপুরের স্থানীয় নয় বহিরাগত কয়েকজন লোকজনের বসবাস রয়েছে। তাদের পূর্ববতী পৈত্রিক বাড়ি ছিলো ধলঘাটা এলাকায়। সে সুবাদে ধলঘাটাসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন তাদের বাড়িতে এনে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর একপ্রকারের ত্রাস সৃষ্টি করছে। বহিরাগত এসব লোকজন ভরাট হওয়া পুকুর দখল করতে স্থানীয় মালিক আব্দুল মোনাফ ও তার মৃত চার ভাইয়ের পরিবারকে হুমকি-ধমকি সহ চাঁদা দাবি করে আসছে। এই ভূমিদস্যূ চক্রের দাবিকৃত চাঁদা না দিলে পুকুরটি জোরপূর্বক দখল করবে বলে হুমকি দিচ্ছে তারা। সেই সুবাদে পুকুরটি দখল করতে হাতিয়ার হিসাবে মহেশখালী থানায় একের পর এক নাটকীয় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানান ভুক্তভোগী মালিকেরা। অভিযোগ রয়েছে সন্ত্রাসী কামাল মাঝি ও তার ভাইয়েরা এলাকায় তাদের দাপট ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্টা করতে নতুনভাবে মহেশখালীর আন্ডারগ্রাউন্ডের সন্ত্রাসীদের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়েছে। তাছাড়া সন্ধ্যা নামলেই তাদের বাড়িতে বিভিন্ন অপরিচিত লোকজনের আনাগোনা বাড়ে। একইভাবে রাতভর চলে বিভিন্ন লোকজনের রহস্যজনক চলাফেরা। পাশর্^বর্তী পাহাড়ী এলাকায়ও এসব লোকের যাতায়ত আছে বলে সূত্রে জানা যায়। এ অবস্থা চলতে থাকলে এলাকায় যেকোনো মুহুর্তে বড় ধরনের অপরাধ কর্মকান্ড সংগঠিত হয়ে মহেশখালীর আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে। স্থানীয় শান্তি প্রিয় লোকজন দ্রুত এই চক্রটির কর্মতৎপরতা লক্ষ্য করে সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান। এ ব্যাপারে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইছার হামিদ জানান- বিষয়টি জানার পর প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।